বার্তা সংস্থা ইকনা: এই প্রবন্ধে উল্লেখ করেছে: জার্মানের সমাজ ও রাজনৈতিক মহলে প্রায় দুই দশক ধরে হিজাব ইস্যুর ব্যাপারে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ২০০৩ সালে সর্বপ্রথম এক মুসলিম শিক্ষিকার হিজাব থাকার কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রহণ করেনি। এর প্রতিবাদের তিনি আদালতে অভিযোগ করেন। এরপর থেকে জার্মানের ৮টি প্রদেশে এই ব্যাপারটি নিয়ে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এবং মুসলমান নারীদের মধ্যে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই বিষয়টি বিশেষ করে সমাজ সেবা কাজ এবং সরকারি, আদালত, সংসদ, স্কুল ও অন্যান্য সরকারি বিভাগসমুহ মুসলিম নারীদের জন্য একটি বিতর্কিত বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
এরমধ্যে জার্মানের সমাজে অন্য একদল ব্যক্তি রয়েছে যারা অল্প বয়সী নারী এবং যুবতীদের হিজাব ব্যবহারের ক্ষেত্রে মত পোষণ করে না। এছাড়াও কিছু কিছু নারী সংগঠন স্পষ্টভাবে হিজাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের ধারণা এ ধরণের কাজের মাধ্যমে নারীদেরকে সীমাবদ্ধের মধ্যে রাখা হচ্ছে।
জার্মানের ৫০টি নারী আঞ্জুমানের মধ্যে থেকে নেয়া এক জরিপে দেখা গিয়েছে মাত্র কয়েকটি আঞ্জুমান নারীদের হিজাব ব্যবহারের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছে।
হিজাব ও স্পোর্ট নিয়ে এসকল আঞ্জুমান ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছে। লিবারেল আঞ্জুমানগুল খেলাধুলার সময় হিজাব ব্যবহারের ক্ষেত্রে তেমন কোন সমস্যা মনে করে না। তাদের জন্য কেউ হিজাব ব্যবহার করুন কিম্বা না করুক সেটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়।
অন্য এক জরিপে দেখা যায় যে, কর্মস্থলে হিজাব ব্যাবহারের ক্ষেত্রে শিক্ষিকা, নার্স, সহকারী ডাক্তার এবং সমাজকর্মীদের অধিক সমস্যায় পরতে হয়। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার নারীদের হিজাব নিয়ে ততটা সমস্যায় পরতে হয় না।
জার্মানের একটি নারী সংগঠনের সদস্যা এ ব্যাপারে বলেন: আমাদের উচিত এ ব্যাপারে অধিক আলোচনা করা। আমি ব্যক্তিগতভাবে পূর্বে হিজাবকে নীদের সীমাবদ্ধতা হিসেবে বিবেচনা করতাম। আমার ধারণা ছিল এটি নারীদের ওপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু এরমধ্যে অনেক মুসলিম নারীর সাথে পরিচিত হয়েছি এবং এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। হিজাবী নারীদের মধ্যে অনেকেই হিজাবকে তাদের অস্তিত্ব হিসাবে দেখেন।
iqna