বার্তা সংস্থা ইকনা: ইসলামী ওয়াকফ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ যারা আল-আকসা মসজিদটি পরিচালনা করেন তারা ঘোষণা দেয় যে, সমস্ত গেটগুলো সব বয়সের ফিলিস্তিনিদের জন্য খোলা হবে। এর আগে ইসরাইলি পুলিশ ৫০ বছরের কম বয়সী পুরুষদের জন্য পবিত্র মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
উল্লেখ্য, ১৪ জুলাই গোলাগুলির ঘটনার পর ঐদিন শুক্রবার ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ আল-আকসা মসজিদে জুমার নামাজ বাতিল করে দেয়। প্রায় ৫০ বছর পর এই প্রথম পবিত্র মসজিদটিতে মুসলিমরা জুমার নামাজ আদায় করতে পারনি।
এছাড়া আল-আকসা মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বারে মেটাল ডিটেক্টর স্থাপন এবং ৫০ বছরের কম বয়সী পুরুষ মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দখলদার ইসরাইল। এতে ইসরাইলি পুলিশের গুলিতে চারজন ফিলিস্তিনি নিহত এবং শত শত আহত হয়েছে।
ইসরাইল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের প্রধান দ্বার লায়ন্স গেটের সামনে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর প্রতিবাদে কয়েক দিন ধরেই বাইরে নামাজ পড়ছিলেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলি আরবরা।
২৮ জুলাই শুক্রবার জুম্মার নামাজ শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে আল-আকসা মসজিদ হতে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণাটি আসে। হাজার হাজার ফিলিস্তিনি রাস্তায় এবং মসজিদের বাইরের চত্বরে নামাজ আদায় করে।
ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের মতে, জুমার নামাজে প্রায় ১০,০০০ ফিলিস্তিনি অংশগ্রহণ করে। শুক্রবার জেরুজালেমে বড় ধরনের কোনো অপ্রতিকর ঘটনা ঘটে নি। আল জাজিরা