বার্তা সংস্থা ইকনা: আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুরুতর আহতদের প্রাদেশিক রাজধানী শহর হেরাত সিটির প্রধান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে জাওয়াদিয়া মসজিদে এ হামলায় একাধিক ব্যক্তি অংশ নেয় বলে ধারণা করছে পুলিশ।
তবে এর আগে প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র জালানি ফারহাদ আলজাজিরাকে জানিয়েছিলেন, নিহতের সংখ্যা ৫০ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া হেরাত থেকে নির্বাচিত আইনপ্রণেতা
মেহেদি হাদিদ বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিস্থিতি দেখে তিনি বলেন, এ এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। শতাধিক মরদেহ ও আহত লোকজন পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
হেরাত পুলিশের মুখপাত্র আবদুল আহাদ ওয়ালিজাদা বলেন, ‘হেরাত সিটির থার্ড সিকিউরিটি ডিস্ট্রিক্টে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে একটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের হাতে আসা তথ্যানুযায়ী, দুজন সন্ত্রাসী এ হামলা চালিয়েছে। যাদের মধ্যে একজনের সুসাইড ভেস্ট পরা ছিল এবং বিস্ফোরণে তিনি নিজেকে উড়িয়ে দেন। অপরজনের কাছে রাইফেল ছিল। উভয়ই নিহত হয়েছেন।’ মঙ্গলবার রাতে নামাজের সময় এ হামলা হয়। এ সময় সেখানে প্রায় ৩০০ মুসল্লি নামাজ আদায় করছিলেন।
এখনো কোন গোষ্ঠী শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাটিতে এ হামলার কথা স্বীকার করেনি। তবে অনেকে এর পিছনে তালেবান জঙ্গি গোষ্ঠিকে সন্দেহ করছে।
গতকালও কাবুলে ইরাকি দূতাবাসের সামনে এক আত্মঘাতী হামলায় ২ দূতাবাস কর্মী নিহত হয়েছে। আইএস এ হামলার দায় স্বীকার করে। আগের সপ্তাহের সোমবারও কাবুলের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় এক গাড়ী বোমা হামলায় ৩০ জন নিহত হন। তালেবান জঙ্গিরা এ হামলা চালিয়েছিল বলে কর্তৃপক্ষ ধারণা করা হয়। মে মাসের ৩১ তারিখও বড় ধরণের এক বোমা হামলায় ১৫০ শ’র বেশি নিহতের ঘটনা ঘটে। এমটিনিউজ২৪