বার্তা সংস্থা ইকনা: পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। পার্লামেন্ট স্পিকার ড. আলী লারিজানি অনুষ্ঠানের উদ্বোধনি বক্তব্যে বলেন, দেশের শতকরা ৭২ ভাগেরও বেশি নাগরিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রমাণ করেছেন, তারা ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতি অনুগত।
পার্লামেন্ট স্পিকারের পর ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান ভাষণ দেন এবং তারপর হাসান রুহানি শপথ গ্রহণ করেন। এরপর এক ভাষণে তিনি সারাবিশ্ব থেকে আসা রাজনীতিবিদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও আইনের শাসন সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ইরানি জনগণ অনেক বড় ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এদেশের জনগণ ইসলামি শাসনব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখেছেন বলেও জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, তার সরকার ইরানি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত চার বছর কাজ করেছে এবং আগামী চার বছরও একই ধারা অব্যাহত রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে। দেশের জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখারও চেষ্টা করা হবে বলে জানান ড. রুহানি।
২০১৩ সালে ইরানের ১১তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন হাসান রুহানি। এরপর চলতি বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আরেকবার দেশের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পান তিনি। গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী রুহানিকে ইরানের ১২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে অনুমোদন প্রদান করেন। এরপর আজকের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হলো। পার্সটুডে
iqna