IQNA

পনের জিলহজ্ব ইমাম হাদীর (আ.) মহিমান্বিত জন্ম দিবস

17:00 - September 06, 2017
সংবাদ: 2603768
ইসলাম বিশ্ব-সভ্যতার পূর্ণতার নিয়ামক। আর ইসলামের পরিপূর্ণতার অন্যতম প্রধান নিয়ামক হলেন বিশ্বনবীর (সা.) পবিত্র আহলে বাইত (আ.)। আর মহানবীর আহলে বাইতের ১২ সদস্যের প্রত্যেকেই হলেন হেদায়াতরূপ খোদায়ী নূরের সর্বোচ্চ প্রতিফলন ও মানবীয় পরিপূর্ণতার সর্বোত্তম আদর্শের দিশারী তথা খাঁটি মুহাম্মাদি ইসলামের সংরক্ষক, ক্রম-বিকাশক এবং পূর্ণতার মাধ্যম।
পনের জিলহজ্ব ইমাম হাদীর (আ.) মহিমান্বিত জন্ম দিবস
শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: ১৫ই জিলহজ্ব দশম ইমাম হযরত আলী নাকী আল হাদীর (আ.) জন্ম দিবস উপলক্ষে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমিন কাজেম সিদ্দিকী বলেন: আল্লাহ তায়ালা অনেক নবীকে শৈশবে নবুয়্যাত দান করেছেন; যাতে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট হয় যে, নবুয়্যাত ও ইমামত খোদাপ্রদত্ত বিশেষ সম্মান। একমাত্র আল্লাহই যাকে যোগ্য ও উপযুক্ত মনে করবেন; এ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত করবেন। এক্ষেত্রে বান্দার কোন ভূমিকা নেই।

তিনি বলেন: ইমামতিধারাতে সর্বপ্রথম যে ইমাম শৈশবে ইমামতের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন, তিনি হলেন ৯ম ইমাম মুহাম্মাদ তাকী (আ.)। তারপর যিনি শৈশবে এ দায়িত্বে অসীন হওয়ার যোগ্যতা পেয়েছেন; তিনি হলেন ১০ম ইমাম আলী নাকী আল হাদী (আ.)। তিনি মাত্র ৮ বছর বয়সে ইমামতের গুরুদায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন।

বস্তুত: শৈশবে ইমামতের দায়িত্ব অধিষ্ঠিত হওয়ার মূল রহস্য হচ্ছে এ ঘটনার মধ্য দিয়ে এ বিষয়টি মানুষের নিকট পরিস্কার হয়ে যায় যে, ইমাম আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষকে হেদায়েতের জন্য মনোনীত। আল্লাহ তার হিকমত ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে এ গুরুদায়িত্বের ক্ষেত্রে যোগ্য ও উপযুক্ত ব্যক্তিকে নির্বাচন করেন। এক্ষেত্রে বয়সের কোন ভূমিকা নেই। আর মানুষের পক্ষেও কোন হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এটি পুরোপুরি মানুষকে হেদায়েত ও দিকনির্দেশনার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে অর্পিত দায়িত্ব।

তিনি ইমাম আলী নাকী আল হাদীর (আ.) অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যাবলী বর্ণনা করে বলেন: জিয়ারাতে জামে কাবিরাহ আল্লাহর মারেফাত, রাসূলের (সা.) ফজিলত ও তার পবিত্র আহলে বাইতের (আ.) গুণাবলীর নজিরবিহিন উপখ্যান। এ জিয়ারতে আল্লাহর তওহীদ থেকে শুরু করে ইসলামের মৌলিক শিক্ষাবলীর অনুপম উপমা উপস্থাপিত হয়েছে। আর এ জ্ঞানগর্ভ জিয়ারতটি সরাসরি ইমাম আলী নাকী আল হাদীর (আ.) পবিত্র মুখ:নিসৃত বাণী থেকে বর্ণিত হয়েছে। তাই জিয়ারাতে জামে কাবিরাহ এ মহান ইমামের (আ.) স্বরণীয় স্মৃতি হিসেবে স্বীকৃত।
captcha