ইকনার প্রতিবেদনে ফিলিস্তিন ইনফরমেশন সেন্টারের বরাতে বলা হয়েছে, এই প্রতিবাদী কর্মসূচি ‘ফিলিস্তিনের পক্ষে মরক্কো ফ্রন্ট’-এর উদ্যোগে এবং মরক্কোর সর্ববৃহৎ মানবাধিকার সংস্থা—মরক্কো মানবাধিকার সংস্থার সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। অনশন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা (গ্রিনিচ সময়) পর্যন্ত চলে। অনশনের পাশাপাশি সেখানে বক্তব্য, আলোচনা ও ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে স্লোগান দেওয়ার মতো কার্যক্রমও অনুষ্ঠিত হয়।
ফিলিস্তিনের পক্ষে মরক্কো ফ্রন্টের সহ-সমন্বয়কারী আব্দুস্সামাদ ফাতেহি এই অনুষ্ঠানে বলেন: “এই অনশন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ফিলিস্তিনি জনগণ—বিশেষত গাজাবাসী—তাদের ইতিহাসের অন্যতম কঠিন ও অন্ধকার সময় পার করছে।”
তিনি গাজায় চলমান গণহত্যাকে ইতিহাসের দৃষ্টিকোণ থেকে নজিরবিহীন বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন: “এই প্রকাশ্য গণহত্যা সারা বিশ্বের চোখের সামনে চলছে।”
আন্তর্জাতিক সমাজের নীরবতা ও নিষ্ক্রিয়তার তীব্র সমালোচনা করে ফাতেহি বলেন: “মানবতা আজ এক কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। গাজায় প্রতিদিন মানবিক মূল্যবোধকে জবাই করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী ক্ষুধাকে একটি মারাত্মক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা নারী, শিশু ও নবজাতকদের অবরুদ্ধ করে খাদ্য থেকে বঞ্চিত করছে, এমনকি খাদ্য খুঁজতে বের হলে তাদের গুলির লক্ষ্য বানাচ্ছে।
আয়োজকদের ভাষ্যমতে, এই কর্মসূচি শুধু শুরু। আগামী দিনগুলোতে মরক্কোর বিভিন্ন সিভিল সোসাইটি সংস্থার অংশগ্রহণে অনশন, অবস্থান কর্মসূচি এবং বিক্ষোভসহ ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। 4297978#