বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মানুষ এজন্যেই মানুষ যে তার বিচার-বিবেচনাশক্তি আছে। আবেগ আছে, উপলব্ধি আছে, দয়া-মায়া, আনন্দ-বেদনা আর সহানুভূতিবোধ আছে। তাই মানুষ হাসে আবার কাঁদে। কখনো রাগ করে, কখনো করে অভিমান। এইসব অভিব্যক্তি মানুষের সুস্থতার অনুভূতিকেই প্রকাশ করে।
ইমাম হুসাইন ( আ ) বেহেশতে যুবকদের নেতা, একথা মাজহাব নির্বিশেষে সবাই স্বীকার করেন। তাঁর শাহাদাতের ঘটনায় যে-কোনো সংবেদনশীল মানুষ শিহরিত হবেন। এতো করুণভাবে তাঁকে শহীদ করা হয়েছে, যা বলতেও ঠোঁটে কম্পন সৃষ্টি হয়। কেন তিনি শহীদ হলেন, একথা ইতিহাস সচেতন সবারই জানা।
ইসলাম যখন ধীরে ধীরে বিকৃতির দিকে যাচ্ছিলো, যখন কেউ কেউ ইসলামের নামে স্বেচ্ছাচার চালাচ্ছিল, তখন সৎ কাজের আদেশ আর অসৎ কাজের নিষেধ-এর আল্লাহ প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তিনি শহীদ হয়েছিলেন। তাঁর শাহাদাতই আজ পর্যন্ত ইসলামকে বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। অনৈসলামী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। শিখিয়েছে নিজের জীবনকে পার্থিব কোনো স্বার্থে নয় বরং একমাত্র আল্লাহর জন্যেই বিলিয়ে দিতে।
আজো তাই বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা বিশ্বাস করে, শাহাদাতের রক্তের ওপরেই ইসলাম প্রাণময়তা পায়। এই সত্য কষ্টিপাথরে যাচাইকৃত নিখুঁত বাস্তব। আজো রাসূল ( সা ) এর জীবন বাস্তবতার আলোকে ইসলামপ্রিয় মুসলমানরা তাদের প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় কাঁদে। বলাবাহুল্য যাঁরা রাসূলকে ভালোবাসেন, তাঁরা ইমাম হুসাইনসহ নবীবংশের সকল শহীদকেও ভালবাসবেন-এটাই স্বাভাবিক।
আর তাঁদেরকে ভালবাসলে অবশ্যই তাঁদের বিরহেও কষ্ট পাবেন। এই কষ্ট থেকেই বিশ্বের মুসলমানরা তাঁদের অন্যান্য প্রিয়জনের মতো ইমাম হুসাইনের শাহাদাতকে স্মরণ করেও কাঁদেন। যুগে যুগে বিশ্বব্যাপী এই কান্না বা মাতমের একটা ধারা চলে আসছে। শাবিস্তান