IQNA

শিশুদের জন্য রোজা সহজ ও উপভোগ্য করতে যা করা উচিৎ

12:14 - May 29, 2018
সংবাদ: 2605865
যদিও ইসলামে বয়ঃসন্ধি না হওয়া পর্যন্ত রোযা বাধ্যতামূলক নয়, তবুও অনেক শিশু রমজান মাসে রোজা রাখতে চায়। সন্তানদের প্রথমবারের মতো রোজার সঙ্গে অভ্যস্ত করাতে এবং এটি তাদের কাছে সহজ ও উপভোগ্য করতে কিছু টিপস অনুসরণ করা উচিৎ।

 
বার্তা সংস্থা ইকনা: রমজানের জন্য প্রস্তুতি-আপনার সন্তানের প্রথম রোজা পালনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামি শরী'য়া অনুযায়ী রোযার মূলনীতি, কেন রোযা পালন করতে হয় এবং এর জন্য কি পুরষ্কার রয়েছে, সে সম্পর্কে সন্তানদেরকে বুঝাতে হবে। যখন আপনার সন্তান রোজা পালনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার বুঝতে পারবে, কেবল তখনই তারা এটি পালনে উৎসাহিত হবে।

তাদেরকে রোজার আদব-কায়দা সম্পর্ক পূর্ণ ধারণা দিতে হবে। যেমন: ভাল আচরণ অনুসরণ করা, অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করা, অতিরিক্ত কথা এড়িয়ে চলা বা অশালীন কথাবার্তা থেকে দূরে থাকা, সময়মত নামাজের জন্য বলা ইত্যাদি। তাদেরকে সেহরি ও ইফতারের গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া উচিত।

রমজানে যা করতে হবে

এ বিষয়ে বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন দুবাইয়ের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কল্পনা সেনগুপ্ত এবং ফিজিসিয়ান স্পেশালিস্ট ডা. জাভেদ শাহ।

: আপনার সন্তান যাতে সেহরিতে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে ওঠতে পারে সেজন্য তাদেরকে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এটি তাদের ঘুমের ব্যাঘাত থেকে রক্ষা করবে। উপযুক্ত ঘুম তাদের ক্লাসে মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে।

: সেহরিতে দুধ এবং ডিম ছাড়াও স্বাস্থ্যকর উচ্চ পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পানিশূন্যতা থেকে নিরাপদ রাখার জন্য শিশুদের জন্য তাজা ফলের রস এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি করুন। রোজায় ফল এবং শাক-সবজি গ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

: সেহরিতে খাওয়ার সময় তাড়াহুড়া না করে তাদেরকে আরাম করে খেতে দিন। আপনার প্রথমবার রোজা রাখার কিছু অভিজ্ঞতা তাদের সঙ্গে শেয়ার করুন। যাতে রোজা তাদের কাছে উপভোগ্য হয়ে ওঠে।

: সেহরির পরে আপনার সন্তানদের একটু বেশি ঘুমাতে দিন। রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম এবং দিনের বেলায় হালকা নিদ্রা তাদের সারাদিনের উপবাসের জন্য সাহায্য করবে।

৫: শিশুদের জন্য রোজাকে উপভোগ্য করার জন্য দাতব্যসেবা, দরিদ্র শিশুদের খাওয়ানো এবং পরিবারের সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেয়ার মতো বিভিন্ন কর্মে তাদের জড়িত করুন।

: আপনার বাচ্চাদের কঠিন ব্যায়াম থেকে বিরত রাখুন। না হলে এটি তাদের দুর্বল এবং তৃষ্ণার্ত করবে।

: ইফতার প্রস্তুতির জন্য আপনার বাচ্চাদের জড়িত রাখুন। ইফতারে তাদের প্রিয় খাবারগুলো তৈরি করুন।

: খেজুর ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ইফতার করা সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত। ভাজা খাবারগুলি যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিত। অধিক চিনিযুক্ত খাবার এবং রিফাইন করা ময়দা পরিহার করা উচিত। বাড়িতে তৈরি করা সুপ সুস্বাস্থ্যের অনেক উপকারী।

: সেহরিতে খাবার না খেয়ে শিশুদের অবশ্যই রোযা রাখতে দেয়া উচিৎ হবে না কারণ এটি তাদের দুর্বল করে দিতে পারে। একই সময়ে তাদের অতিরিক্ত খাওয়ানোর বিষয়টিও এড়াতে হবে।

১০: আপনি আপনার সন্তানকে উপহার প্রদান করতে পারেন, যাতে তারা রোজা পালনে অনুপ্রাণিত হয়।

captcha