বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তখনই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ঘটবে যখন সবাই ইমামের আসার জন্য প্রহর গুনবেন এবং কুরআনের মায়ারেফ সম্পর্কে অবগত হবেন।
সূরা আরাফের ৯৬ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آَمَنُوا وَاتَّقَوْا لَفَتَحْنَا عَلَيْهِمْ بَرَكَاتٍ مِنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَلَكِنْ كَذَّبُوا فَأَخَذْنَاهُمْ بِمَا كَانُوا يَكْسِبُونَ
যদি জনপদ বা শহরগুলোর অধিবাসীরা ঈমান আনতো এবং আল্লাহ্কে ভয় করতো, আমি অবশ্যই তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর [সকল] কল্যাণ উন্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা [ আমার নিদর্শন বা সত্যকে] প্রত্যাখ্যান করেছিলো। সুতরাং তাদের কু-কর্মের জন্য আমি তাদের [শাস্তির] অন্তর্ভুক্ত করেছি।
মানুষ যদি খোদাভীরু ও ঈমানদার হত এবং ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করত তাহলে আমি তাদের জন্য আসমানি ও পার্থিব বা স্থায়ী ও পবিত্র নিয়ামতগুলোর দরজা খুলে দিতাম। কিন্তু অনেক মানুষ আল্লাহর অজস্র ও অসংখ্য নিয়ামত ভোগ করা সত্ত্বেও আল্লাহকেই অস্বীকার করে এবং এভাবে খোদায়ী শাস্তি ডেকে আনে।
এখানে অনেকেই বলতে পারেন তাহলে আজ কাফেররা কেন এত ভাল অবস্থায় রয়েছে এবং মুসলমানরা কেন এত দুরবস্থার শিকার? অথচ আল্লাহ বলেছেন, মানুষ যদি খোদাভীরু ও ঈমানদার হত এবং ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করত তাহলে তিনি ঈমানদার মানুষের জন্য আসমানি ও পার্থিব বা স্থায়ী ও পবিত্র নিয়ামতগুলোর দরজা খুলে দিতেন।
ইসলামী বর্ণনায় এসেছে, শেষ যুগে যখন ইমাম মাহদী (আ.)'র পুনরাবির্ভাব ঘটবে তখন আকাশ ও জমিন মানুষের জন্য বরকতে পরিপূর্ণ হবে। কারণ, তাঁর শাসনামলে বিশ্ব থেকে জুলুম ও অনাচার বিদায় নেবে এবং সমাজে পুরোপুরি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।