পার্সটুডের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তিনি গতকাল তেহরানের জুমা নামাজের খোতবায় বলেছেন, মার্কিন নেতৃত্বেই ঘটানো হয়েছে ওইসব নাশকতা ও দুর্বৃত্তপনা এবং ফরাসি ও জার্মান সরকারও এক্ষেত্রে সহযোগী হয়েছে।
সম্প্রতি ইরানে জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট শান্তিপূর্ণ অসন্তোষকে ভিন্ন রূপ দিতে বা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে একদল দুষ্কৃতকারী কোনো কোনো স্থানে ব্যাংক ও যানবাহনসহ সরকারি এবং জনগণের সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি করে। তাদের হামলায় দু'জন পুলিশসহ কয়েক ব্যক্তি শহীদ হয়েছেন।
আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আহমাদ খাতামি বলেছেন, ইরানি জাতির শত্রুরা ইরানে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য তাদের কর্মীদেরকে ইরানের ভেতরে ও বাইরে তিন বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং তারা নানা ষড়যন্ত্র করা সত্ত্বেও সে-সবই বানচাল হয়ে গেছে।
তিনি দুষ্কৃতকারী ও জনগণের সম্পদ লুটকারীদের প্রতি কোনো কোনো সরকারের সমর্থন ঘোষণা প্রসঙ্গে বলেছেন, সৌদি সরকার সব সময় অর্থ ও প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করে এইসব দুর্বৃত্তকে সহায়তা দিয়েছে।
১৭ হাজারেরও বেশি ইরানি জনগণকে হত্যার রেকর্ডধারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোনাফেক গোষ্ঠীও এইসব দুর্বৃত্তের অন্যতম হাত হিসেবে কাজ করেছে বলে তেহরানের জুমা নামাজের অস্থায়ী খতিব উল্লেখ করেন।
শত্রুদের ষড়যন্ত্রগুলো নস্যাৎ হয়ে যাওয়ার কথা তুলে ধরে জনাব খাতামি আরও বলেছেন, ইরানের বর্তমান সরকারেরও উচিত ওয়াদাগুলো বাস্তবায়ন করা এবং দ্রব্যমূল্য বাড়তে না দেয়া।
উল্লেখ্য গত কয়েক দিনে ইরানে বড় বড় বেশ কয়েকটি শহরে দুর্বৃত্তপনা বিরোধী ব্যাপক গণ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। iqna