IQNA

কাবাঘরে জন্মগ্রহণকারী প্রথম ও শেষ মহামানবের জন্মবার্ষিকী

17:37 - March 07, 2020
সংবাদ: 2610368
তেহরান (ইকনা)- হযরত আলী (আ.)’র পবিত্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে জানাচ্ছি অভিনন্দন। বিশ্বনবী (সা.)'র একটি হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী আলী (আ.)-কে পুরোপুরি বা পরিপূর্ণভাবে চেনেন কেবল আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ রাসূল (সা.) এবং আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ রাসূল (সা.)-কে ভালভাবে চেনেন কেবল আলী (আ.)।

তূর পাহাড়ের বহিরাবরণে বজ্রের বেষ্টনী,

তবু অন্তরমূলে ভাসে তার ঝর্ণা কলধ্বনি,

পাথরে খোদাই আলী হায়দর আবু তোরাবের প্রাণ

শিলা দুর্গমে বয়ে যায় ঝর্ণার মতো অফুরান।

কোন অনন্ত দরিয়ার পানে তার অশান্ত গতি

দুপাশে ছিটায়ে ফুলের আঁজলা ছুটেছে মরুর নদী,

ডুবরির সাথে ডুব দিয়ে দিয়ে পায় না সিন্ধু তল

দজলা শিরায় নিত্যনতুন জোয়ার ঢালিছে ঢল;

বিশ্বনবী (সা.)'র একটি হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী আলী (আ.)-কে পুরোপুরি বা পরিপূর্ণভাবে চেনেন কেবল আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ রাসূল (সা.) এবং আল্লাহ ও তাঁর সর্বশেষ রাসূল (সা.)-কে ভালভাবে চেনেন কেবল আলী (আ.)। পার্সটুডে

আসলে আমিরুল মু'মিনিন হযরত আলী (আ.)'র মহৎ ও সুন্দর ব্যক্তিত্ব এত বিশাল বিস্তৃত ও এত বিচিত্রময় যে একজন মানুষের পক্ষে তাঁর সব বৈশিষ্ট্য ও পরিধি সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করাও সম্ভব নয়। মানুষ কল্পনার ফানুস উড়াতে পারবে কিন্তু এর কিনারার নাগালও পাবে না। তাই ভারত উপমহাদেশের বিশিষ্ট সূফী সাধক ও চিশতিয়া তরিকার প্রতিষ্ঠাতা খাজা মুঈনউদ্দিন চিশতী (র.) বলেছেন, সমুদ্রকে যেমন ঘটিতে ধারণ করা অসম্ভব তেমনি বর্ণনার মাধ্যমে আলী (আ.)'র গুণাবলী তুলে ধরাও অসম্ভব।

মানুষের মনে উত্তেজনা ও প্রভাব সৃষ্টিতে আমিরুল মু' মিনিন আলী (আ.)'র সুবিশাল ব্যক্তিত্ব ও মহত্ত্ব ইতিহাসে দখল করে আছে অনন্য ও শীর্ষস্থানীয় অবস্থান। বিশ্বনবী (সা.)'র পর এ ব্যাপারে তিনি সত্যিই অপ্রতিদ্বন্দ্বী।

মহান আল্লাহর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এ জন্য যে তিনি মানব জাতিকে হযরত আলী (আ.)'র মত একজন মহামানব উপহার দিয়েছেন।

হযরত আলী (আঃ) ছিলেন সেই ব্যক্তিত্ব যার সম্পর্কে রাসূলে পাক (সা:) বলেছেন, মুসার সাথে হারুনের যে সম্পর্ক তোমার সাথে আমার সেই সম্পর্ক, শুধু পার্থক্য হল হারুন (আঃ) নবী ছিলেন, তুমি নবী নও।

আলী (আ.) এমন এক নাম যাঁর নাম উচ্চারণ ও যাঁর বরকতময় জীবনের আলোচনা মানুষের ঈমানকে তাজা করে দেয়। রাসূল (সা.) বলতেন, আলীর দিকে তাকানোও ইবাদত।

হযরত আলী (আ.)'র আকাশ-ছোঁয়া বীরত্ব ও মহত্ত্ব কেবল মুসলিম কবি, সাহিত্যিক বা মনীষীদেরই প্রভাবিত করেনি, অমুসলিম পণ্ডিতরাও তার সুবিশাল ব্যক্তিত্বের ব্যাপকতায় অভিভূত ও হতবাক হয়েছেন। তাঁর মহত্ত্ব ও উদারতার প্রশংসা করে আর ডি ওসবোর্ন বলেছেন, আলী (আ.) ছিলেন মুসলমানদের ইতিহাসের সর্বোত্তম আত্মার অধিকারী সর্বোত্তম ব্যক্তি।

ওয়াশিংটন আরভিং বলেছেন, "সব ধরনের নীচতা ও কৃত্রিমতা বা মিথ্যার বিরুদ্ধে আলী (আ.)'র ছিল মহৎ সমালোচনা এবং আত্মস্বার্থ-কেন্দ্রিক সব ধরনের কূটচাল থেকে তিনি নিজেকে দূরে রেখেছিলেন।"

ঐতিহাসিক মাসুদির মতে, রাসূল (সা.)'র চরিত্রের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি মিল যার ছিল তিনি হলেন আলী (আ.)।

আমীরুল মুমিনীন আলী সম্পর্কে মাওলানা রুমী লিখেছেন,

“সাহসিকতায় তুমি ছিলে খোদার সিংহ তা জানি

পৌরুষত্বে আর বদান্যতায় কি তুমি তা জানেন শুধুই অন্তর্যামী।”

আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আঃ) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসের অতুলনীয় ও শ্রেষ্ঠ বীরযোদ্ধা। আল্লাহর সিংহ বা আসাদুল্লাহ ছিল তাঁর উপাধি। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:)’র জীবদ্দশায় প্রায় প্রতিটি যুদ্ধে বিজয়ের তিনিই ছিলেন প্রধান স্থপতি। তাই বলা হয়, হযরত আলী (আঃ)’র তরবারি জুলফিকার ছাড়া ইসলামের কোনো বিজয়ই অর্জিত হতো না। বিশ্বনবী-সা: নিজেই তাঁকে এই দ্বিধারী তরবারি উপহার দিয়েছিলেন। বদর, ওহোদ, খন্দক, খায়বারসহ অনেক যুদ্ধের কিংবদন্তীতুল্য বীর আলী (আঃ) অনেকবার নিজ জীবন বাজি রেখে রাসূল (সা:)’র জীবন রক্ষা করেছিলেন। জিহাদের ময়দানে তাঁর উপস্থিতিই শত্রু-সেনার মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতো।

আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আঃ) ছিলেন মজলুমের বন্ধু, অত্যাচারীর ত্রাস, মহানবী (সা:)’র জ্ঞান-নগরীর তোরণ, এতীম ও অনাথের সেবক, শ্রেষ্ঠ আবেদ, সাধকদের আদর্শ এবং একইসাথে সৎ-নেতৃত্ব, ন্যায়বিচার ও সুশাসনের প্রতীক। তিনি ছিলেন সর্বযুগের সেরা নারী খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা (সা:)’র স্বামী।

আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আঃ)’র মাধ্যমেই রক্ষিত হয়েছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:)’র পবিত্র বংশধারা বা তাঁর পবিত্র আহলে বাইত যাঁদের অনুসরণ ছাড়া মুসলমানদের মুক্তি ও হেদায়েত সম্ভব নয় বলে বিশ্বনবী (সা.) জোর তাগিদ দিয়ে গেছেন। ইমাম আলী (আঃ)ই বেহেশতী যুবকদের সর্দার হযরত ইমাম হাসান ও হযরত ইমাম হোসাইন (আঃ)’র পিতা। মুসলিম উম্মাহর সর্বশেষ ইমাম তথা উম্মতের ত্রাণকর্তা হযরত ইমাম মাহদী আঃ’ও (মহান আল্লাহ তাঁর পুনরাবির্ভাব ত্বরান্বিত করুন) তাঁরই বংশধর। পবিত্র ইমামগণ ছাড়াও ওলি-আউলিয়ায়ে কেরামের উল্লেখযোগ্য অংশ হযরত আলী (আঃ)’রই বংশধর। অধিকাংশ সূফী তরিকার আধ্যাত্মিক মুর্শিদগণের সিলসিলার শীর্ষে রয়েছেন আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আঃ)।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা:) বলেছেন, আমি জ্ঞানের নগরী, আর আলী তার দরজা। হযরত আলী (আঃ) নিজেও বলেছেন, পবিত্র কোরআনের এমন কোনো আয়াত নেই যার শানে নজুল, ব্যাখ্যা বা তাৎপর্য সম্পর্কে আমি রাসূল (সা:)’র সাথে আলোচনা করি নি। পবিত্র কোরআনের তাফসীর, ফেক্বাহ, হাদিস ও কালাম শাস্ত্রসহ ইসলামের এমন কোনো শাস্ত্র নেই যে বিষয়ে তিনি শ্রেষ্ঠ পণ্ডিত ছিলেন না।

হযরত আলী (আঃ)কে আরবি ব্যাকরণের জনকও বলা হয়। কবিতা ও ভাষণসহ তাঁর চিঠিগুলো আরবি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ এবং কালোত্তীর্ণ সম্পদ।

হযরত আলীর ভাষণ ও চিঠিপত্রের সংকলন নাহজুল বালাগায় বৈচিত্র্যময় বিষয় দেখা যায়। যখন কেউ নাহজুল বালাগাহ্ পড়ে তখন কখনো মনে করেন সম্ভবত আবু আলী সিনা কথা বলছেন। অন্যস্থানে দৃষ্টিপাত করে মনে করেন মাওলানা রুমী অথবা মহিউদ্দীন আরাবী কথা বলছেন। কোথাও দেখে যে, কবি ফেরদৌসির মতো কথা অথবা কোন স্বাধীনতাকামী যার মাথায় স্বাধীনতা ছাড়া অন্য কিছুই আসে না এরকম কেউ যেন কথা বলছেন, কখনো লক্ষ্য করে, ঘরের কোণে অথবা মসজিদে বসা কোন আবেদ বা যাহেদ তথা দুনিয়াবিমুখ সাধক ও এবাদতকারী অথবা কোন ধর্মীয় নেতা বক্তব্য রাখছেন। অর্থাৎ বিচিত্রময় বিষয়ে এসব বক্তব্যের কারণে মানুষ সব মূল্যবোধই আলী (আ.)-এর মধ্যে দেখতে পায়, কারণ, বক্তব্য ব্যক্তির আত্মার প্রতিফলন।

সাইয়্যেদ রাজী নাহজুল বালাগার ভূমিকায় বলছেন, ‘যে বিষয়টি সব সময় বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করি এবং যাতে সবচেয়ে বেশি বিস্মিত হই তা হলো আলী (আ.)-এর বক্তব্যগুলোর যে কোন একটিতে প্রবেশ করলে মনে হয় যেন এক বিশ্বে প্রবেশ করেছি। কখনো কোন আবেদের জগতে, কখনো বা যাহেদের জগতে, কখনো দর্শনের জগতে, কখনো আধ্যাত্মিকতার জগতে, কখনো সৈনিক বা সামরিক কর্মকর্তার জগতে, কখনো ন্যায়পরায়ণ বিচারক বা শাসকের বা ধর্মীয় নেতার জগতে। পুরো বিশ্বেই আলী উপস্থিত। মানব বিশ্বের কোন স্থানেই আলী(আ.) অনুপস্থিত নন।”

ইবনে আব্বাস রাসূল (সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন: আলী আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জ্ঞানী এবং বিচারকার্যে সর্বোত্তম।

ইবনে মাসউদও বলেছেন, মহানবী (সা.) আলীকে ডাকলেন ও একান্তে বসলেন। যখন আলী (আ.) ফিরে আসলেন, তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম কী আলোচনা করছিলেন? তিনি বললেন: মহানবী (সা.) জ্ঞানের হাজারটি দরজা আমার জন্য উন্মুক্ত করলেন, আর প্রত্যেকটি দরজা থেকে আরো সহস্রটি দরজা খুলে যায়।

একদিন আলী (আ.) মিম্বারে বললেন: হে লোকসকল! আমাকে হারানোর আগেই আমার কাছে জিজ্ঞাসা কর। আমার কাছে জেনে নাও কারণ, পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জ্ঞান আমার কাছে রয়েছে। আল্লাহর শপথ যদি বিচারের দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয় তাহলে ইহুদিদের জন্য তাদের কিতাব থেকে, ইঞ্জিলের অনুসারীদের জন্য তাদের কিতাব থেকে, যাবুরের অনুসারীদের জন্যও তাদের কিতাব থেকে, আর কুরআনের অনুসারীদের জন্য কুরআন থেকে বিচার করব... আল্লাহর শপথ, আমি কুরআন ও তার ব্যাখ্যায় সবার চেয়ে জ্ঞানী।

হযরত আলী (আ.) ছিলেন এমন একজন পূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ মানুষ যার মধ্যে সবগুলো মানবিক মূল্যবোধ সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বিকাশ লাভ করেছে । যখন রাত্রি নেমে আসে, রাত্রির নিস্তব্ধতা চারিদিক আচ্ছন্ন করে ফেলে তখন কোন সাধক বা আরেফই আলী (আ.)-এর পদমর্যাদায় পৌঁছতে পারে না। এমন প্রাণবন্ত ইবাদত যেন স্রষ্টার সাধনায় নিমগ্ন ও পরমাকৃষ্ট, তাঁর দিকে ধাবমান প্রবলভাবে।

ইবাদতরত অবস্থায় তাঁর শরীর থেকে তীর খুলে ফেলা হয়েছে, অথচ তিনি এমনভাবে আল্লাহর দিকে আকৃষ্ট ও ইবাদতে নিমগ্ন যে অনুভবও করেননি। ইবাদতের মেহরাবে তিনি এতটা ক্রন্দনশীল যার নজীর কেউ দেখেনি। আবার দিনের বেলায় আলী(আ.) যেন ভিন্ন কোন মানুষ। সঙ্গীদের সাথে যখন বসেন তখন হাসি মুখ, খোলা-মেলা তাঁর আচরণ। তাঁর চেহারা সব সময় হাস্যোজ্জ্বল। আলী (আ.) এত বেশি মুক্ত মনের ছিলেন যে, আমর ইবনে আস তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাত যে, আলী খেলাফতের উপযুক্ত নয়। কারণ হাসিমুখ ও মনখোলা মানুষ খেলাফতের জন্য অনুপযোগী।

‘তিনি ইবাদতের মেহরাবে যেমন অত্যন্ত ক্রন্দনশীল তেমনি যুদ্ধের ময়দানে হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।’

আলী (আ) সহনশীলতা ও ধৈর্যের ক্ষেত্রে ছিলেন যেমন সর্বোচ্চ পর্যায়ের তেমনি সাহসিকতার ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে। রক্তপাতের ক্ষেত্রে যেখানে কোন নিকৃষ্ট ব্যক্তির রক্ত ঝরাতে হবে সেখানে তিনি শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা, আবার ইবাদতের ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদতকারী। বেহেশত বা পুরস্কারের লোভে নয়, নরকের ভয়েও নয় বরং আল্লাহর প্রেমে আকুল হয়েই কৃতজ্ঞতম বান্দার মত ইবাদত করতেন তিনি।

আলী (আ.) ছিলেন নিঃস্ব ও সম্পদহীন, অথচ সর্বশ্রেষ্ঠ দাতা। দানশীল ছিলেন বলেই সম্পদ তাঁর হাতে গচ্ছিত থাকত না।

আসলে আলী (আ.) ছিলেন সব ধরণের মানবিক মূল্যবোধের ময়দানে বিজয়ী বীর। মানবতার সবগুলো ময়দানেই তিনি ছিলেন শ্রেষ্ঠ তথা আদর্শ ও পরিপূর্ণ মহামানব।

সবশেষে হযরত আলী (আঃ)’র কিছু অমর ও অমূল্য বাণী তুলে ধরছি:

‘নিশ্চয় আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে অনন্তর বলতে শুনেছি যে, কোন উম্মতই সম্মান ও মর্যাদার পবিত্র স্থানে পৌঁছতে পারবে না যতক্ষণ না তাদের ক্ষমতাশীলদের হাত থেকে দুর্বলদের অধিকার আদায় করবে কোন দ্বিধা ও শঙ্কা ছাড়াই (অর্থাৎ উম্মতের দুর্বলরা ক্ষমতাশীলদের বিরুদ্ধে তাদের অধিকারের জন্য রুখে দাঁড়াবে) ।’

‘‘আমি ঐ লোকের ব্যাপারে অবাক হই যে কোন সম্পদ হারিয়ে ফেললে তা পাওয়ার জন্য সর্বক্ষণ ব্যতিব্যস্ত থাকে, অথচ নিজ সত্তাকে হারিয়ে ফেললেও তার সন্ধান করে না।”

“প্রকৃত জীবন হচ্ছে মৃত্যুবরণের মাধ্যমে জয়ী হওয়া। আর প্রকৃত মৃত্যু হলো বেঁচে থেকেও নিকৃষ্ট ব্যক্তির অধীনে থাকা।”

  • জেনে রাখ, নিশ্চয়ই দারিদ্র্য একটি বড় বিপদ এবং দারিদ্র্য হতে মন্দ শারীরিক অসুস্থতা আর শারীরিক অসুস্থতা হতে খারাপ ও কঠিন হলো।
captcha