বার্তা সংস্থা ইকনা: আফখাম তার দেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আত্মরক্ষার প্রয়োজনে ইরান প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাগত ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা মেনে নেবে না। তিনি বলেন, ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলার হুমকি জাতিসংঘের নীতিমালা ও ঘোষণার পরিপন্থি। এজন্য মার্কিন কর্মকর্তাদের জবাবদিহী করতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা গত ১৯ আগস্ট রিপাবলিকানদের নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসকে লেখা এক চিঠিতে বলেন, ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতা সত্ত্বেও দেশটির বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার পথ খোলা রেখেছে ওয়াশিংটন। তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরির দিকে ধাবিত হলেই ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরো বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল ও আমেরিকার ইসরাইলপন্থি লবিগুলোকে খুশি করার জন্য মার্কিন কর্মকর্তারা একের পর এক ইরান বিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ধরনের বক্তব্য প্রমাণ করে নিজেদের জাতীয় স্বার্থের ব্যাপারে মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে গভীর মতপার্থক্য ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়ে গেছে।
আফখাম আরো বলেন, মার্কিন রাজনীতিবিদদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রেষারেষির কারণে দেশটির পররাষ্ট্রনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মার্কিন রাজনীতিবিদরা কল্পনার জগতে বাস করেন এবং তাদের ভয়ঙ্কর ও বিপদজনক চিন্তাধারা এরইমধ্যে বিশ্বের অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে তার জন্য এসব রাজনীতিবিদ দায়ী বলে আফখাম মন্তব্য করেন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা ও সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের মূল কারণ ইহুদিবাদী ইসরাইল। আর এর দায় এই অবৈধ রাষ্ট্রের মূল পৃষ্ঠপোষক আমেরিকার। রেডিও তেহরান