
ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গিতে দুনিয়ার সব ঘটনা আল্লাহর ইচ্ছায় ঘটে। কিন্তু আল্লাহ সবকিছু “আসবাব” (কারণ) দিয়ে সংঘটিত করেন। এই আসবাব শুধু প্রকৃতির নিয়ম নয়, বরং আধ্যাত্মিক কারণও আছে। এগুলো আমাদের চোখে দেখা যায় না, কেবল কুরআন-হাদিস থেকে জানা যায়।
কুরআনের কয়েকটি আয়াতে বলা হয়েছে: যখন সমাজ ঈমান ও আমলের মাধ্যমে ফিতরাতের ওপর চলে, তখন আসমান থেকে বরকত নেমে আসে।
আর যখন ফাসাদ করে, তখন তাদেরকে ধ্বংসের মুখে ফেলে দেওয়া হয়।
(সূরা রুম: ৪১, আ’রাফ: ৯৬, রা’দ: ১১, শূরা: ৩০)
ইসতিগফারের দুনিয়াবী প্রভাব দুইভাবে:
১. প্রত্যক্ষ প্রভাব (দেখা যায়): সত্যিকারের ইসতিগফার মানে শুধু মুখে “আসতাগফিরুল্লাহ” বলা নয়। এর অর্থ হলো নৈতিক দুর্বলতা, মিথ্যা, ধোঁকা, অন্যায় থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা। যে ব্যক্তি এভাবে নিজেকে সংশোধন করে, তার ব্যবসা-বাণিজ্যে সততা বাড়ে, গ্রাহক বাড়ে, সম্পর্ক ভালো হয়।
২. গায়েবি/অদৃশ্য প্রভাব (দেখা যায় না):
কুরআনে সূরা নূহ (১০-১২) আছে: নূহ (আ.) তাঁর কওমকে বলেছিলেন:
«اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا * يُرْسِلِ السَّمَاءَ عَلَيْكُمْ مِدْرَارًا * وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا»
“তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইসতিগফার করো... তিনি তোমাদের ওপর আকাশ থেকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন, তোমাদের জন্য বাগান ও নদী সৃষ্টি করবেন।”
একটি হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন: “যে বান্দা আমার ইচ্ছাকে নিজের খেয়ালের ওপর প্রাধান্য দেয়, আমি তার অন্তরে বিনিয়োগের চিন্তা ঢুকিয়ে দিই... আকাশ ও জমিনকে তার রিজিকের জিম্মাদার করে দিই...”
ইসতিগফার শুধু আখিরাতের জন্য নয়। এটি দুনিয়াতেও বরকত, রিজিক, বৃষ্টি, সম্পদ ও শান্তি নিয়ে আসে — কখনো প্রত্যক্ষভাবে (সততা বৃদ্ধি), কখনো গায়েবি ভাবে (আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ)। 3495259#