IQNA

আমীরুল মুমিনীন (আ.)এর দৃষ্টিতে হেদায়েতের পথ

0:03 - October 18, 2022
সংবাদ: 3472667
তেহরান (ইকনা): আমীরুল মুমিনিন আলী ইবনে আবু তালিব (আ.) বলেছেন, হেদায়েতের পথ মানুষের জন্য উন্মুক্ত, আল্লাহ পথপ্রদর্শক এবং কুরআন হল হেদায়েতের গ্রন্থ। সুতরাং, মহান আল্লাহ বাণী শুনতে হবে, গভীর ভাবে চিন্তা ও বিবেচনা করতে হবে এবং চিন্তা ও বিবেচনা করে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

ইমাম আলী (আ.) তার খুতবায় ধর্মপ্রাণদের উদ্দেশ্য করে বলেছেন: "তারা তাদের কানকে এমন জ্ঞানের প্রতি উৎসর্গ করেছিল যা তাদের উপকার করে"। এই বাক্যটি ছোট হলেও এতে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা রয়েছে; প্রথমত, একজন জ্ঞানী ব্যক্তির আজেবাজে কথা শোনার অধিকার নেই এবং যা মানুষের সচেতনতা ও বুদ্ধি বৃদ্ধি করে না, সেগুলোও শোনার অধিকার রাখে না। এই কান মহান আল্লাহর নিয়ামতসমূহের মধ্যে একটি নেয়ামত এবং শ্রবণশক্তি মহান আল্লাহর অনুগ্রহের মধ্যে একটি অনুগ্রহ।
আমরা পবিত্র কুরআনে পড়েছি যে বিচার দিবসে জাহান্নামীরা বলবে:


وَقَالُوا لَوْ كُنَّا نَسْمَعُ أَوْ نَعْقِلُ مَا كُنَّا فِي أَصْحَابِ السَّعِيرِ


এবং তারা বলবে, ‘যদি আমরা (পৃথিবীতে নবীদের কথা) শুনতাম অথবা বিবেক-বুদ্ধি প্রয়োগ করতাম তাহলে (আজকে) আমরা প্রজ্বলিত আগুনের অধিবাসীদের অন্তর্ভুক্ত হতাম না।‘
সূরা মুলক, আয়াত: ১০।
পবিত্র কুরআনের অনেক সূরায় উল্লেখ রয়েছে যে, লোকেরা তাদের কানে কর্ক রেখেছে. যাতে তারা ঐশ্বরিক সত্য বাণী শুনতে না পারে।
আমিরুল মুমিনীন (আ.) বলেন: "হে লোকসকল! তোমাদের হেদায়েতের জন্য যা কিছু প্রয়োজন, তা তোমাদেরকে দেখানো হয়েছে এই শর্তে যে, তোমরা চোখ খুলবে এবং তোমাদের কানে সব কিছু বলা হয়েছে এই শর্তে যে, তোমরা এই কর্কটি নিজেদের কান থেকে সরিয়ে ফেলবে।“
হযরত আমীরুল মুমিনিন আলী (আ.) বলেছেন, হেদায়েতের পথ মানুষের জন্য উন্মুক্ত এবং আল্লাহই পথপ্রদর্শক এবং পবিত্র কুরআন পথনির্দেশের গ্রন্থ। সুতরাং, মহান আল্লাহ বাণী শুনতে হবে, গভীর ভাবে চিন্তা ও বিবেচনা করতে হবে এবং চিন্তা ও বিবেচনা করে সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
* নাহজুল বালাগার পণ্ডিত ও গবেষক সাইয়্যেদ হামিদ খুইয়ের বক্তব্য থেকে নেওয়া

captcha