IQNA

কুরআনের সূরাসমূহ/৩৭

সূরা ‘সাফ্ফাত’; একেশ্বরবাদ অস্বীকারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ

0:03 - October 26, 2022
সংবাদ: 3472716
তেহরান (ইকনা): বিভিন্ন দল আছে যারা মহান আল্লাহ বা আল্লাহর একত্বকে অস্বীকার করে; ইতিহাস জুড়ে, আল্লাহ তাদের কাউকে শাস্তি দিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কোন কোন ব্যক্তিকে একটি সুযোগ দিয়েছেন, যাতে তারা নিজেদের শেষ পরিণতি থেকে ফিরে যেয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

পবিত্র কুরআনের সাঁইত্রিশতম সূরাকে বলা হয় ‘সাফ্ফাত’। ২৩ পারায় অবস্থিত এই সূরায় মোট ১৮২টি আয়াত রয়েছে। মক্কায় অবতীর্ণ হওয়ার কারণে এই সূরাকে মাক্কী সূরা বালা হয় এবং নাযিলের ক্রমানুসারে ৫৬তম সূরা যা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)এর উপর নাযিল হয়েছে।
সাফ্ফাত শব্দের অর্থ হচ্ছে লাইনে সারিবদ্ধ হয়ে থাকা মানুষ। বলা হয় যে এর অর্থ সারিবদ্ধ ফেরেশতা বা নামাজী মু’মিনগণ। প্রথম আয়াতে "সাফ্ফাত" শব্দের উপস্থিতির কারণে সূরা সাফ্ফাতকে এই নামকরণ করা হয়েছে।
সূরাটির সাধারণ বিষয়বস্তু হল একেশ্বরবাদের অভিব্যক্তি এবং মহান আল্লাহ সম্পর্কে মুশরিকদের বিশ্বাসকে প্রত্যাখ্যান করা। এই সূরাতে একেশ্বরবাদের বিষয়ে দলীল উপস্থাপন করা হয়েছে; অতঃপর একেশ্বরবাদের বিরোধীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং মুমিনদেরকে সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে; সবশেষে দুই দলের শেষ পরিণতির কথা বলা হয়েছে।
এছাড়াও, এই সূরার একটি অংশে, হযরত নূহ (আ.), হযরত ইব্রাহিম (আ.), হযরত ইসহাক (আ.), হযরত মূসা (আ.), হযরত হারুন (আ.), হযরত ইলিয়াস (আ.), হযরত লুত (আ.) এবং হযরত ইউনুসের (আ.) মতো কিছু ঐশ্বরিক নবীর ইতিহাস একটি সংক্ষিপ্ত এবং একই সাথে অত্যন্ত কার্যকর উপায়ে বর্ণনা করা হয়েছ, তবে এরই মধ্যে হযরত ইব্রাহীম (আ.) ও তাঁর জীবনের বিভিন্ন অংশ সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে; বিশেষ করে হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর পুত্রকে কোরবানি করার ঘটনাটি তুলে ধরা হয়েছে; যদিও এই গল্পটি পুরোপুরি বলা হয়নি, তবে আল্লাহ এটিকে তাঁর নবীর জন্য একটি স্পষ্ট পরীক্ষা বলেছেন।
এই কুরআনে উল্লেখিত আরেকটি বিষয় হল "আলে ইয়াসিন"; এ আয়াত তিলাওয়াতের মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ বলেন: "আলে ইয়াসিন" আহলে বাইত (আ.) অর্থাৎ নবী করিম (সা.)এর পরিবারকে বুঝানো হয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেন: “আলে ইয়াসনি” হযরত ইলিয়াস (আ.)এর পরিবারকে বুঝানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট খবর
captcha