IQNA

সূরা মায়িদাহে অঙ্গীকারের প্রতি বিশ্বস্ততা এবং চুক্তির স্থায়িত্বের উপর জোর দেওয়া হয়েছে

0:02 - January 27, 2024
সংবাদ: 3475011
ইকনা: এই সূরা’র মূল উদ্দেশ্য হল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থাকা এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিরুদ্ধে সতর্ক করা। ইসলামের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকারের বিষয়টি এই সূরা’য় উত্থাপিত হয়েছে।

এই সূরা’র মূল উদ্দেশ্য হল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, প্রতিশ্রুতিতে অবিচল থাকা এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিরুদ্ধে সতর্ক করা। ইসলামের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অভিভাবকত্ব ও উত্তরাধিকারের বিষয়টি এই সূরা’য় উত্থাপিত হয়েছে।

সূরা মায়েদাহ "মদীনা"য় অবতীর্ণ হয়েছে এবং এর 120টি আয়াত রয়েছে। এই সূরাটি কুরআনের দীর্ঘ সূরাগুলোর শেষ সূরা যা আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর জীবনের শেষ দিকে অবতীর্ণ হয়েছিল।

সূরার বিষয়বস্তু

এই সূরাটি ইসলামী শিক্ষা ও আকায়েদ তথা বিশ্বাসের একটি সিরিজ এবং ধর্মীয় আহকাম ও কর্তব্যের একটি সিরিজের বিষয়বস্তু। সূরার প্রথম অংশে, নবীর পরে বেলায়েত এবং নেতৃত্ব, আল্লাহর বরকত এবং খ্রিস্টানদের ত্রিত্বের ইস্যু ও কিয়ামত এবং নবীদের জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

দ্বিতীয় অংশে, চুক্তি পালনের বিষয়, সামাজিক ন্যায়বিচার, ন্যায়বিচারের সাক্ষ্য দেওয়া এবং আত্মহত্যার নিষেধাজ্ঞা (এবং অনুরূপভাবে আদম সন্তানের গল্প এবং কাবিল দ্বারা হাবিলকে হত্যা করা), পাশাপাশি হালালের কিছু অংশের ব্যাখ্যা এবং হারাম খাবার এবং অযু ও তায়াম্মুমের নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। এর নাম "সূরা মায়েদাহ" কারণ এই সূরার ১১৪ নম্বর আয়াতে হযরত ঈসা (আ.)এর সাহাবীদের কাছে মায়েদাহ অর্থাৎ খাবারে দস্তরখান অবতরণ করার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে।

সূরার উদ্দেশ্য

আমরা যদি এই সূরার প্রথম, শেষ এবং মধ্যবর্তী আয়াতের দিকে মনোযোগ দেই তাহলে দেখতে পাব যে, এই সূরার সামগ্রিক উদ্দেশ্য হল প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা, প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকার, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়া এবং সতর্ক করা। প্রকৃতপক্ষে বলা হয়েছে যে, মহান আল্লাহ হচ্ছে করুণাময় এবং তিনি ধার্মিক, খোদাভীরু ও পরোপকারী বান্দাদের জন্য কাজকে সহজ করে দেন। যে তার ইমামের সাথে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, বিবাদ ও আগ্রাসন শুরু করে এবং ধর্মে প্রণীত সীমানা ও চুক্তি ভঙ্গ করে তার প্রতিও আল্লাহর সর্বদা কঠোর।

এ কারণে উক্ত সূরায় ঈসা (আ.)-এর যুগে মায়েদাহের ঘটনা এবং আদম (আ.)-এর দুই পুত্রের কাহিনী এবং বনী ইসরাইলদের অত্যাচার ও তাদের চুক্তি ভঙ্গের অনেক ফরমান, সীমাবদ্ধতা ও প্রতিশোধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও, এই সূরার আয়াতগুলিতে বলা হয়েছে তার দ্বীনকে পরিপূর্ণ করা হয়েছে এবং তার নিয়ামতকে সম্পূর্ণ করেছে, ভালো জিনিসুগুলিকে হালালএবং খারাপ জিনিসগুলিকে হারাম করা হয়েছে।

সূরার ফজিলত

সূরা মায়িদাহে ইসলামের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর বেলায়েত ও উত্তরাধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে এবং কাফেররা ইসলাম ধর্ম থেকে নিরাশ হয়ে পড়েছে, তাই যে কেউ এই সূরাটি পড়বে এবং অনুসরণ করবে। আলী (আঃ)-এর অভিভাবকত্ব মেনে নেবে এবং এর বিধান অনুসারে কাফেরদের হতাশ করবে এবং তাই তিনি তাদের সংখ্যা অনুসারে পুরস্কৃত হবেন।

 

ট্যাগ্সসমূহ: মদীনা ، সূরা ، ধর্ম ، আহকাম ، নবী
captcha