IQNA

ইজনকণ্ঠের খবরের শিরোনাম/ইসলামী গবেষকের মন্তব্য;

হাওর ধ্বংস করে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের ৫০০০কোটি টাকার প্রমোদ সড়ক !!!

4:28 - March 22, 2025
সংবাদ: 3477073
ইকনা- বাংলার প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রক্রিয়া ১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে আজও (২০২৫) তা অব্যাহত আছে। হাওড় ধ্বংস করে হামিদের ৫০০০কোটি টাকার প্রমোদ সড়ক প্রকৃতি পরিবেশ বিধ্বংসী তথাকথিত উন্নয়ন প্রোজেক্টসমূহের একটি।

জনকণ্ঠের খবরের শিরোনাম: হাওর ধ্বংস করে সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদের ৫০০০কোটি টাকার প্রমোদ সড়ক !!!
এ খবর নিয়ে কিছু কথা:
বাংলার প্রকৃতি ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রক্রিয়া ১৭৫৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী শাসন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে আজও (২০২৫) তা অব্যাহত আছে। হাওড় ধ্বংস করে হামিদের ৫০০০কোটি টাকার প্রমোদ সড়ক প্রকৃতি পরিবেশ বিধ্বংসী তথাকথিত উন্নয়ন প্রোজেক্টসমূহের একটি। এ ধরনের বহু নজীর বিদ্যমান। প্রগতি ও উন্নয়নের নামে পানির স্বাভাবিক গতি প্রবাহে বিঘ্ন ও বাধা সৃষ্টি কারী পুল, সেতু,বাধ,সড়ক ও রেলপথ ইত্যাদি নির্মাণ সেই ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী শাসনামল থেকে চলে আসছে। কারণ বাংলায় ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসন প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংসী তথাকথিত প্রগতি ও উন্নয়নের ভূত প্রায় অধিকাংশ আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিতের ওপর ভর করেছে যা আজও অব্যাহত আছে। আর এর সাথে যুক্ত হয়েছে ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত লাভ ও স্বার্থ এবং ভোগবাদ যা আরো বারোটা বাজিয়েছে প্রকৃতি ও পরিবেশের। আর তথাকথিত প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান মনস্কতা এবং প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের বদৌলতে প্রকৃতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও কর্তৃত্ব করার সক্ষমতা ও প্রবণতা নিয়ে গর্ব ও অহংকার এ সমস্যাকে আরও মারাত্মক ভাবে জটিল করেছে। ৫০০০কোটি টাকা ব্যায়ে হামিদের উক্ত প্রমোদ সড়ক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীগত লাভ ও স্বার্থ থেকে উৎসারিত যা প্রকৃতি ও পরিবেশের এতবড় সর্বনাশের কারণ হয়েছে ঐ হাওড় অঞ্চলে। আর এসব কিছুর মূলে রয়েছে প্রকৃতি ও পরিবেশ বৈরী ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী কালো ও কালা শাসনের মারাত্মক ও ধ্বংসাত্মক কুপ্রভাব। এই ব্রিটিশ শাসন ও এর প্রবর্তিত সংকীর্ণ বস্তুবাদী শিক্ষা ব্যবস্থাই আমাদেরকে স্বার্থপর, স্বার্থবাদী, দুনিয়া পূজারী এবং প্রকৃতি বৈরী করে গড়ে তুলেছে। তাই যুগে যুগে হামিদের প্রমোদ সড়কের মতো প্রকৃতি ও পরিবেশ বিধ্বংসী ও দূষণকারী উন্নয়ন প্রোজেক্ট বাস্তবায়িত হয়েছে এবং হতেও থাকবে যদি না আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ও দৃষ্টিভঙ্গিতে গুণগত আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। ব্রিটিশ প্রবর্তিত আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদেরকে পাশবিক,স্বার্থপর,বস্তুবাদী এবং ভোগবাদী করে দিয়েছে। এগুলো ( স্বার্থপরতা , বস্তুবাদ ও ভোগবাদ) থেকে বের হতে না পারলে এ সমস্যা অব্যাহত থাকবে এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ বৈরী তথাকথিত উন্নয়ন ও প্রগতির ভূতের খপ্পর থেকে মুক্তি পাওয়া বহুত মুশকিল ও কঠিনই হবে।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান 
খবরের লিংক:
https://www.dailyjanakantha.com/bangladesh/news/784202

ট্যাগ্সসমূহ: বাংলা
captcha