IQNA

গাজায় মানবিক সহায়তা ঠেকানো ‘সমষ্টিগত মৃত্যুদণ্ড’ সমতুল্য: ইউরোপ-ভূমধ্যসাগর মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা

23:05 - September 12, 2025
সংবাদ: 3478054
ইকনা- ইউরোপ-ভূমধ্যসাগর মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা (Euro-Med Human Rights Monitor) সতর্ক করে বলেছে যে ইসরায়েলি দখলদার সেনাবাহিনী ‘পোড়ামাটি নীতি’ অনুসরণ করে গাজা শহরের শত-সহস্র বাসিন্দা ও বাস্তুচ্যুত মানুষকে জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করার চেষ্টা করছে।

দখলদার সেনারা ব্যাপক বেসামরিক হত্যাযজ্ঞ, অবশিষ্ট আবাসিক ভবনগুলো ধ্বংস এবং সমস্ত ত্রাণ প্রচেষ্টা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যাতে বাধ্যতামূলক উচ্ছেদের বিরোধিতা করা মানে হচ্ছে ‘ইচ্ছাকৃত ও পদ্ধতিগত সমষ্টিগত মৃত্যুদণ্ড’।

দেখা যায়, বৃহস্পতিবার রাতে ইসরায়েলি সেনারা গাজা শহরের সাতটি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ও ত্রাণকেন্দ্রকে অবৈধভাবে খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো চিকিৎসা ও মানবিক উদ্ধার কার্যক্রম পুরোপুরি অচল করা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব কর্মকাণ্ড সাম্প্রতিক এক মাসব্যাপী সামরিক আগ্রাসনের অংশ, যা গাজায় সামরিক নিয়ন্ত্রণ শক্তিশালী করা এবং সেখানকার বাসিন্দাদের উচ্ছেদ করার প্রকাশ্য পরিকল্পনার আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। এই পরিকল্পনা শহরটিকে বসবাসের উপযোগিতা হারানো এক বিরান এলাকায় পরিণত করার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, একদিনে পশ্চিম গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরে ১৫টি বাড়ি বিমান হামলায় ধ্বংস করা হয়েছে এবং একইসঙ্গে শহরের কেন্দ্রে বহু তলা আবাসিক টাওয়ার ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ স্পষ্টতই মানুষের দুর্ভোগ বাড়ানো এবং তাদের ন্যূনতম টিকে থাকার উপায় কেড়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে।

ইউরোপ-ভূমধ্যসাগর মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা জানায়, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে উচ্ছেদ নির্দেশ এবং বাড়িঘর ও আশ্রয়কেন্দ্র ধ্বংসের পাশাপাশি প্রতিদিনের গণহত্যা আরও তীব্র হয়েছে। বর্তমানে গোটা গাজা উপত্যকায় দৈনিক যে হতাহত হচ্ছে, তার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশই গাজা শহরের বাসিন্দা। 4304634#

 

captcha