আরবি২১–এর বরাতে ইকনা জানিয়েছে, মঙ্গলবার সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্ট শেখ আবদুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ আল-শেখের মৃত্যুর ঘোষণা দেয়। তিনি সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ও সিনিয়র আলেম পরিষদের সভাপতি ছিলেন।
রয়্যাল কোর্ট জানায়, তার জানাজা নামাজ আসরের পর রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আবদুল্লাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, আজ আসরের নামাজের পর মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদে নববি এবং সৌদি আরবের অন্যান্য মসজিদেও তার গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আবদুল আজিজ বিন আব্দুল্লাহ আল-শেখ সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি ছিলেন এবং তিনি মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাবের বংশধর। তিনি ৩০ নভেম্বর ১৯৪৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। আল-শেখ পরিবার সৌদি আরবের অন্যতম প্রভাবশালী ধর্মীয় পরিবার, যাদের বংশধারা মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব পর্যন্ত পৌঁছায়।
তিনি কুরআনের শিক্ষা শুরু করেন আহমদ বিন সানআন মসজিদে। ১৯৫৪ সালে তিনি ইমাম আদ-দাওয়াহ ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন এবং ১৯৬২ সালে এর শরিয়াহ অনুষদ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৭১ সালে তিনি একই ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি রিয়াদের ইমাম মুহাম্মদ বিন সৌদ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়াহ অনুষদে যোগ দেন এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সেখানে অধ্যাপনা করেন।
১৯৯৯ সালে সৌদি বাদশাহ ফাহদের পক্ষ থেকে তিনি গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং আবদুল আজিজ বিন বাজের উত্তরসূরি হন।
সৌদি দৈনিক আল-মাদিনাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন: "পয়গম্বরের জন্মদিন পালন করা একটি ভিত্তিহীন বিদআত। আমি রাসুল (সা.), খলিফায়ে রাশেদিন বা ইমামদের মধ্যে জন্মদিন পালনের কোনো প্রমাণ পাইনি। তাই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা হারাম।"
২০১২ সালের মার্চে তিনি একটি হাদিসের উল্লেখ করে ফতোয়া দেন যে, আরব উপদ্বীপের সব গির্জা ধ্বংস করা উচিত। ২০১৬ সালে তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তিনি দাবা ও অনুরূপ খেলা জুয়ার কারণে হারাম বলে ঘোষণা করেছিলেন।
শেখ আবদুল আজিজ আল-শেখ বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক সেমিনার ও সভায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন। ফতোয়া প্রদান ও ধর্মীয় বিষয়সমূহ তদারকির পাশাপাশি তিনি সৌদি আরবের রেডিও ও টেলিভিশনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নিয়মিত অতিথি ছিলেন। 4306684#