
এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে ২২০০ জন কোরআনে হাফেজকে বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ধর্মমন্ত্রী মোহাম্মদ আবুল খাইর শুকরি বলেন, ‘কোরআনে হাফেজরা ব্যক্তি ও সমাজ গঠনের মূল চালিকাশক্তি। কোরআন শুধু মুখস্থ করার বিষয় নয়, বরং এর শিক্ষাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বাস্তবায়ন করাই আমাদের প্রকৃত সাফল্য।
’ তিনি জানান, মন্ত্রণালয় একদিকে ধর্মীয় ও আধুনিক জ্ঞানের সমন্বয় ঘটাতে কাজ করছে, অন্যদিকে হাফেজদের মাধ্যমে মসজিদগুলোকে জ্ঞান ও নৈতিকতার আলোয় পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। দারা গভর্নর আনোয়ার তাহা জুবি অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, কোরআন মানুষকে উচ্চ নৈতিকতা, জ্ঞান ও করুণার শিক্ষা দেয়। তিনি হাফেজদের সমাজে আলোকবর্তিকা হিসেবে অভিহিত করেন। এনডাওমেন্টস ডিরেক্টর শেখ হামেদ আবা জায়েদ কোরআনে হাফেজদের ‘পৃথিবীতে আল্লাহর সৈনিক ও নবীদের উত্তরাধিকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, দেশের বিজয়ের পর তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে।
দারার মুফতি শেখ আব্দুল রাজ্জাক আল-সায়াসনেহ অনুষ্ঠানের আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
হাউরানের কোরআন তিলাওয়াত কমিটির প্রধান শেখ ইয়াহিয়া আল-গুথানি হাফেজদের ‘আকাশের তারা’ আখ্যা দিয়ে ঘোষণা করেন, আগামী বছর আরো এক হাজার হাফেজকে সম্মাননা জানানো হবে। এ জন্য তিনি অংশগ্রহণকারীদের তিলাওয়াতে দক্ষতা অর্জনে নতুন করে প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান।