কোম শহরের কেন্দ্রস্থলে হযরত মাসুমা (সা.)-এর মাজারের অদূরে অবস্থিত জামকারন মসজিদটি কেবল ইবাদাতের স্থান নয়, একইসঙ্গে তা একটি আদর্শিক প্রকাশ যা মানুষকে উজ্জ্বল ও মহৎ ভবিষ্যতের দিকে আহ্বান করে।
হযরত ইমাম মাহদী (আ.)-এর নির্দেশে এবং হাসান ইবনে মুসলা জামকারানীর বর্ণনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত এই মসজিদটি অপেক্ষমানদের হৃদয়ে স্পন্দিত আশার প্রতীক; একজন ত্রাণকর্তার আবির্ভাবের আশা, যিনি তাঁর আগমনের মাধ্যমে বিশ্বকে নিপীড়ন, অজ্ঞতা আর বিভাজন থেকে মুক্ত করবেন এবং মানবিক উৎকর্ষের পথ প্রশস্ত করবেন।
জামকরণের ভূদৃশ্য কেবল ইবাদাতের স্থানই নয়, একইসঙ্গে মানব আত্মা ও মনের শিক্ষার একটি মঞ্চও। একত্ববাদ এবং ন্যায়বিচার, যা উত্থানের অক্ষ, এই স্থানে একটি সৃষ্টিশীল শক্তি হিসেবে কাজ করে। আর এই শক্তি মানব সমাজে দয়া, সহমর্মিতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের পটভূমি গড়ে দেয়। এ মসজিদে উপস্থিতির অর্থ এমন বিশ্বে প্রবেশ করার আধ্যাত্মিক পদক্ষেপ নেয়া যেখানে মানব সমাজে পরস্পরের সঙ্গে মহতী গুণ ও প্রজ্ঞার ভিত্তিতে যোগাযোগ ও লেনদেন করা হয় গায়ের জোরের ভিত্তিতে নয়।
স্বয়ং ইমাম মাহদীর বর্ণনার আলোকে এই মসজিদে নামাজ আদায়ের রয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এ বিষয়টি কেবল স্থানের গুরুত্ব তুলে ধরে না, একই সঙ্গে ইবাদত ও সচেতনতার মধ্যে বন্ধনের গুরুত্বও তুলে ধরে। এখানে নামাজ আদায় জীবনকে নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ এনে দেয়, এনে দেয় আত্মশুদ্ধির সুযোগ। এছাড়াও ন্যায় বিচারের চূড়ান্ত আত্মপ্রকাশের যে বাস্তবতা তার প্রতীকের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার সুযোগ ঘটে এখানে।
এ স্থান মহানবীর সা. পবিত্র আহলে বাইতের প্রেমিকদের সমাবেশের স্থান। ইমাম মাহদী আলাইহিস সাল্লাম এর আবির্ভাবের জন্য অপেক্ষমানদের সমাবেশের স্থান। তারা কেবল ব্যক্তিগত মুক্তির জন্য দোয়া করেন না, গোটা মানব জাতিকেও ঐতিহাসিক নানা অন্ধকার থেকে আলোতে নিয়ে আসতে আকুল। এ বিষয়ে সংহতি সমাজে বপন করে দয়া ও সহমর্মিতার বীজ। পার্সটুডে#