
অজ্ঞাত হামলাকারী খুব কাছ থেকে ১৩ বার গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারী। নিরাপত্তা তদন্ত শুরু হয়েছে।
মিশরের নিরাপত্তা সূত্রগুলোও আলেকজান্দ্রিয়ার পশ্চিমে কেরমুজ এলাকায় একজন পারমাণবিক রাসায়নিক প্রকৌশলীর হত্যার খবর দিয়েছে; বুধবার সন্ধ্যায় এলাকার পাশের একটি রাস্তায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগের ঝড় তুলেছে।
কায়রো ২৪ ওয়েবসাইট লিখেছে: প্রাথমিক প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি রাস্তায় একা হেঁটে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে আক্রমণ করে মাটিতে ফেলে দেয় এবং খুব কাছ থেকে গুলি বর্ষণ করে হত্যা করে।
বলা হয়েছে হামলাকারী তার অস্ত্রের সমস্ত গুলি ওই বিজ্ঞানীর ওপর নিক্ষেপ করে এবং এরপর কাছাকাছি এলাকার তার জন্য অপেক্ষায় থাকা 'লাডা' মডেলের একটি গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায়।
১৯৫২ সালের ৫ ই আগষ্ট মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী সামিরা মুসাকে যুক্তরাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হত্যা করা হয়। বিজ্ঞানী সামিরাকে ' মাদার অফ এটমিক এনার্জি ' বলা হতো । এই নারী বিজ্ঞানীকে ইসরাইলের পছন্দ না করার কারণ তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের ক্রমবর্ধমান পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিলেন। এছাড়া তিনি ইউরেনিয়ামের চেয়ে কম মূল্যে পরমাণু উপকরণ উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করছিলেন। পারমাণবিক প্রযুক্তি থেকে মিশরকে আটকাতে মোসাদ এই কাজ করে ।
১৯৬৭ সালে মিসরীয় পরমাণু বিজ্ঞানী ড. সামির নাজিবকে গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটিয়ে হত্যা করে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা। পরমাণু প্রযুক্তির সামরিক প্রয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কিছু সফল গবেষণার পর মার্কিন শহর ডেট্রয়টে তাকে হত্যা করা হয়। সেখান থেকে ফিরে মিশরের নিউক্লিয়ার প্রোগ্রামে কাজ করার কথা ছিল বিজ্ঞানী নাজিবের।
নানা তথ্য-প্রমাণে দেখা গেছে মিশর, সিরিয়া, ইরান, ইরাক, লেবানন, ফিলিস্তিন সহ আরও কয়েকটি দেশের বিপুল সংখ্যক বিজ্ঞানীদের হত্যা করে আসছে মোসাদ। ইরাকের ৩৫০ এরও বেশি পরমাণুবিজ্ঞানী এবং ৩০০ এর বেশি ভার্সিটির প্রফেসরকে হত্যা করা হয়েছে ইসরায়েলি অনুচরদের মাধ্যমে। # পার্স টুডে