
ইকনা সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মন্ত্রণালয়ের সহকারী মন্ত্রী শেখ খালেদ বিন মোহাম্মদ বিন গনিম আল সানি উদ্বোধন করেন এই প্রদর্শনী। এতে ওয়াকফ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীটি চলবে ২৩ নভেম্বর (বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী ২ আযার) পর্যন্ত।
মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ১৬, ১৭ ও ১৮ নভেম্বর সকালবেলায় প্রদর্শনীটি শুধু নারীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে, যাতে সমাজের সব শ্রেণির মানুষ কুরআনভিত্তিক নানা কার্যক্রমে অংশ নিতে পারে।
এই আয়োজনের লক্ষ্য হলো — কুরআন সেবায় কাতারের দীর্ঘ ৩০ বছরের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা তুলে ধরা, কুরআনের হাফেজ ও পাঠকদের সম্মাননা জানানো এবং কুরআনের সেবায় রাষ্ট্রের দায়িত্ববোধকে আরও সুদৃঢ় করা।
প্রদর্শনীটিতে ইতিহাসভিত্তিক জ্ঞান, ইন্টার্যাকটিভ অভিজ্ঞতা ও লক্ষ্যনির্ভর কার্যক্রমের সংমিশ্রণ ঘটেছে, যা দর্শকদের জন্য এক সম্পূর্ণ কুরআনিক অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করে। এতে কুরআন শিক্ষাকেন্দ্র, প্রতিযোগিতা, শিক্ষাক্রম ও ডিজিটাল প্রকল্পসহ বিভিন্ন সংগঠনের কার্যক্রমের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া প্রদর্শনীর বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে কুরআন পাঠ ও তিলাওয়াত সংশোধন, কুরআনিক শিক্ষা ও হরফ শিখন কর্মশালা, শিশুদের জন্য থিয়েটার, আরবি ক্যালিগ্রাফি, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (VR) অভিজ্ঞতা, কুরআনবিষয়ক প্রকাশনা প্রদর্শনীG
প্রদর্শনীটি ইন্টার্যাকটিভ শিক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে দর্শকদের কুরআনের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে, এবং সমাজে কুরআনিক সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।