
শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনার রিপোর্ট: সন্তান লালন পালনে পিতা-মাতার দায়িত্ব অত্যধিক। তাদেরকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করা প্রতিটি মুসলমানের জন্য ফরজ। আর এর মধ্যে আমরা যেহেতু ইমাম মাহদীর অন্তর্ধানের যুগে বসবাস করছি তাই ইমাম মাহদী সম্পর্কে আমাদের সন্তানদেরকে সঠিক ধারণা ও শিক্ষা দেয়া খুবই প্রয়োজন।
আমরা ইমাম মাহদীর(আ.) অন্তর্ধানের প্রকৃত দর্শন সম্পর্কে অবহিত নই। তবে হাদিসে যে সকল কারণ বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে একটি হচ্ছে জনগণ, একটি ইমাম মাহদীর(আ.) নিজেই, কিছু হচ্ছে বেয়সাতের দর্শন, আর এমন কিছু আছে যা আমাদের পক্ষে অনুধাবন করা অসম্ভব।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন, যখন সত্যবাদী এবং প্রকৃত অনুসারীরা প্রস্তুত হবে তখনই আমাদের কায়েম(আ.) আবির্ভূত হবেন। তিনি যখন কিয়াম করবেন তখন ইসলামের শত্রুরা পরাজিত এবং ধ্বংস হয়ে যাবে।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.) বলেছেন: মহান আল্লাহ এমনকি কাফের ও খারাপ লোকদের মধ্যেও কিছু ভাল মানুষ রেখেছেন যারা পরবর্তীতে ইমাম মাহদীর অনুসারী এবং সাহায্যকারী হবে। যেমন হযরত আলী(আ.) তার শত্রুদের মধ্যে অনেককেই হত্যা করেন নি কারণ ভবিষ্যতে তাদের বংশে ভাল মানুষ তৈরি হবে, যারা ইমাম মাহদীকে(আ.) সাহায্য করবেন।
তিনি বলেছেন: উপযুক্ত সংখ্যক সাহায্যকারী প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত ইমাম মাহদী(আ.) আবির্ভূত হবেন না। কেননা তিনি আবির্ভূত হয়ে তার সাহায্যকারীদের মাধ্যমে ইসলামের সকল শত্রুদেরকে সাহায্য করবেন।
ইমাম জাফর সাদিক(আ.)আরও বলেছেন: ইমাম মাহদী(আ.) তার আবির্ভাবের পর তার অন্তর্ধানের দর্শন সম্পর্কে বলবেন যে, আমি যখন তোমদের থেকে নিরাশ হয়েছিলাম এবং তোমরা আমাকে হত্যা করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিল তখন আমি তোমাদের হাত থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় নিয়েছিলাম।