মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধদের সহিংসতার কারণে গত চার বছর ধরে সহস্রাধিক রোহিঙ্গা মুসলমানেরা কোনো রকমে পালিয়ে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনে শরণার্থী শিবিরে জীবনধারণ করছে। এছাড়া, বহু রোহিঙ্গা মুসলমানকে হত্যা করেছে বৌদ্ধরা।
বান কি মুন বলেন, "রোহিঙ্গা মুসলমানদের আত্ম-পরিচয় খুঁজতে হবে -এটি কোনো সঠিক প্রশ্ন নয়। যারা কয়েক প্রজন্ম ধরে এ দেশে বাস করছে অন্যদের মতোই তাদেরও নাগরিকত্বের সুবিধা পাওয়া উচিত।”
মিয়ানমার সফরের সময় বান কি মুন সেদেশের কর্তৃপক্ষের নিকট বৈষম্য প্রতিরোধ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা মুসলমানদের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরতে ব্যর্থতার পরিচয় দেয়ায় নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর তোপের মুখে পড়েছেন। এছাড়া, বান কি মুন তার মিয়ানমার সফরের আগে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকারের বিষয়ে পূর্ণ সম্মান দেখাতে দেশটির নতুন নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের বিষয়টি অনেক জটিল এবং মিয়ানমার সরকার এই প্রদেশের সমস্যার তদন্ত এবং তার সমাধান করার জন্য অঙ্গীকার করেছন। মিয়ানমারে বসবাসরত সব জাতি ও নৃগোষ্ঠীর মানুষের সমান সুবিধা নিয়ে বসবাস করা উচিত।#