পবিত্র কুরআনে রোজার দর্শন সম্পর্কে বলা হয়েছে: "يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ؛ হে মোমিনগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমনি ফরজ করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর-যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার। (সূরা বাকারা- ১৮৩)
শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: রমজান ধৈর্য ও সবরের মাস। এ মাসে ঈমানদার ব্যক্তিগণ খাওয়া-দাওয়া, বিবাহ-শাদি ও অন্যান্য সকল আচার-আচরণে যে ধৈর্য ও সবরের এত অধিক অনুশীলন করেন তা অন্য কোন মাসে বা অন্য কোন পর্বে করেন না। এমনিভাবে সিয়াম পালন করে যে ধৈর্যের প্রমাণ দেয়া হয় তা অন্য কোন ইবাদতে পাওয়া যায় না।
ইমাম রেজা(আ.) বলেছেন: মানুষকে রোজা পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এই জন্য যে, তার মাধ্যমে তারা ক্ষুধা ও পিপাসার কষ্টকে অনুভব করতে পারে আর এর মাধ্যমে আখিরাতের কষ্ট ও দুঃখ দুর্দশাকে বুঝতে পারে।
قال الرضا علیه السلام: «انما امروا بالصوم لکی یعرفوا الم الجوع و العطش فیستدلوا علی فقر الاخر.»
ওসায়েলূশ শিয়া, ৪র্থ খণ্ড, পৃ: ৪, হাদিস-৫।