শাবিস্তানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: প্রতিটি জিনিসের দুইটি চেহারা আছে একটি ব্যক্তিগত ও নিজস্ব, আরেকটি হচ্ছে ঐশী ও খোদায়ী। ব্যক্তিগত চেহারা যেহেতু নির্ভরশীল তাই তা নাবুদ হয়ে যাবে। আর ঐশী চেহারা বিদ্যমান থাকবে।
সুতরাং ঐশী চেহারা নাবুদ হবে না। আর ইমাম মাহদী যেহেতু আল্লাহর চেহারা এবং আল্লাহর গচ্ছিত সম্পদ। সুতরাং তিনি কখনোই নাবুদ হবেন না। তিনি সর্বদা বিদ্যমান থাকবে।
সুতরাং নবী এবং ইমামগণের বাহ্যিক মৃত্যু হলেও তারা জীবিত। কেননা তারা আল্লাহর সাতে মিশে গেছেন। অন্যদিকে যারা কাফির মুশরিক এবং গোনাহগার তারা জীবিত থেকেও মৃত্যু। তাদের কোন নাম নিশানা বাকি থাকবে না।
আর ইমাম মাহদী যেহেতু সর্বদা আছেন এবং থাকবেন সেই জন্যই থাকে বাকিয়াতুল্লাহ বলা হয়।
সূরা হুদের ৮৬ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে: بَقِيَّةُ اللَّهِ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ وَمَا أَنَا عَلَيْكُمْ بِحَفِيظٍ
আল্লাহর অনুমোদিত যা থাকবে তোমাদের জন্য তা উত্তম যদি তোমরা বিশ্বাসী হও। আমি তোমাদের তত্ত্বাবধায়ক নই।
ব্যবসা বাণিজ্যে ন্যায় পরায়নতা ও সততা বজায় রাখা এবং ওজনে কম না দেয়ার উপদেশ দেয়ার পর এই আয়াতে বলা হয়েছে, বৈধ উপায়ে ব্যবসা করে যে মুনাফা অর্জিত হয় তাতে আল্লাহর অনুমোদন ও কৃপা থাকে। মুমিন বিশ্বাসীদের তাতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিত। মুমিনরা কখনও অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না। এরপর হযরত শোয়াইব (আ.) বলেছেন, আমার দায়িত্ব হচ্ছে ঐশী নির্দেশ মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া, আমি কারো কর্মের তত্ত্বাবধায়ক নই বা অবৈধ উপার্জনের কারণে কেউ বিপর্যস্ত হলে তার দায়-দায়িত্ব থেকে আমি মুক্ত। অবৈধভাবে উপার্জিত অঢেল সম্পদের চেয়ে বৈধ উপায়ে অর্জন করা পরিমিত সম্পদ যে উত্তম তা বুদ্ধিমান মাত্রই উপলব্ধি করবেন।
তাফসীরে বৈধ ও হালাল উপার্জনকে বাকিয়াতুল্লাহ বলা হলেও হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, যা কিছু আল্লাহর হুকুমে থেকে যায় তা হচ্ছে বাকিয়াতুল্লাহ। যেমন ইমামগণ বিশেষ করে ইমাম মাহদী(আ.) হলেন বাকিয়াতুল্লাহ।