বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম হাসান আসকারী (আ.) মসজিদটি হচ্ছে এমনই ফজিলতপূর্ণ মসজিদ যা সরাসরি এ মহান ইমামের নির্দেশে তৎকালীন কোম শহরে তার সুযোগ্য প্রতিনিধি আহমান ইবনে ইসহাক আশআরী কর্তৃক হিজরি দ্বিতীয় শতাব্দীতে নির্মিত হয়। ইমাম তখন উক্ত মসজিদটি নির্মাণের নির্দেশ দানের পর তার পরবর্তী মাসুম ইমাম ও স্থলাভিষিক্ত তথা ইমামে জামান ইমাম মাহদীকে (আ.) আহমান ইবনে ইসহাক আশআরীর নিকট পরিচয় করিয়ে দেন।
এ ফজিলতপূর্ণ মসজিদটি বিগত এক হাজার বছরের অধিক সময় ধরে ইসলাম ও মুসলমানদের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আসছে। বিশ্বখ্যাত মারজায়ে তাকলীদ হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ রেজা গুলপাইগানি (রহ.) জীবিত থাকা অবস্থাতে এ মসজিদের প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করতেন। তিনি নিজে সেখানে প্রায়ই এতেকাফে মগ্ন হতেন এবং দীর্ঘ সময় ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকতেন। অন্যদেরকেও এ মসজিদে নামায আদায়ের সুপারিশ করতেন। প্রায় অর্ধ শতাব্দি আগে তিনি এ মসজিদটি সম্প্রসারণ ও মেরামতের এক বিশাল প্রকল্প হাতে নেন; কিন্তু তা বাস্তবায়নের আগেই ইন্তেকাল করে। ফলে তারই জামাতা অপর মারজায়ে তাকলীদ হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা শেখ রেজা গুলপাইগানি উক্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ হাতে নেন। প্রায় এক দশক একাধারে কাজ চলার পর উক্ত প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয় এবং গত বছরের মে মাসে ইমাম আলীর (আ.) জন্ম দিনে এক মহতি মাহফিলের মধ্য দিয়ে উক্ত মসজিদের সম্প্রসারিত অংশের উদ্বোধন হয়। বর্তমানে মসজিদের সুদর্শন গজ্বুজ ও নির্মাণ শৈলী যে কোন মানুষকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করে।