বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের বিষয়টি সৃষ্টির প্রথম থেকেই চলে আসছে এবং প্রতিটি ধর্ম ও মাজহাবেই তার আগমন ও ন্যায়পরায়ণ রাষ্ট্র সম্পর্কে আলোচনা হয়ে আসছে। এমনকি নির্বরযোগ্য হাদিসে পাওয়া যায় যে, মহান আল্লাহ মহানবী ও পবিত্র আহলে বাইতের নুরকে হযরত আদমকে সৃষ্টি করার বহু বছর আগেই সৃষ্টি করেছেন।
হযরত মুসা তিনবার দৃষ্টি দিলেন এবং কায়েমে আলে মুহাম্মাদের মর্যাদাকে উপলব্ধি করলেন এবং তিন বারই তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন হে আল্লাহ! আমাকে কায়েমে আলে মুহাম্মাদ বানিয়ে দিন। মহান আল্লাহ তিনবারই তাকে জবাব দিলেন, সে হচ্ছে মুহাম্মাদের বংশ থেকে।
আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে আরও বর্ণিত আছে, নবী (সা) বলেনঃ “আমি তোমাদেরকে মাহদীর আগমন সম্পর্কে সুসংবাদ দিচ্ছি। মানুষেরা যখন মতবিরোধে লিপ্ত হবে তখন তিনি প্রেরিত হবেন। পৃথিবী হতে জুলুম-নির্যাতন দূর করে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দিবেন। আকাশ-জমিনের সকল অধিবাসী তার উপর সন্তুষ্ট হবেন। তিনি মানুষের মাঝে সমানভাবে প্রচুর সম্পদ বিতরণ করবেন।
নবী (সা) বলেনঃ মাহদী আসবেন আমার বংশধর হতে। তাঁর কপাল হবে উজ্জ্বল এবং নাক হবে উঁচু। পৃথিবী হতে জুলুম-নির্যাতন দূর করে দিয়ে ন্যায়-ইনসাফ দ্বারা তা ভরে দিবেন। সাত বছর পর্যন্ত তিনি রাজত্ব করবেন।
উম্মে সালামা বলেনঃ আমি রাসূল (সা)কে বলতে শুনেছি: মাহদীর আগমন হবে আমার পরিবারের ফাতেমার বংশধর হতে।
জাবের বলেনঃ রাসূল (সা) বলেছেন: ঈসা (আঃ) যখন অবতরণ করবেন তখন মুসলমানদের আমীর তাঁকে বলবেন: আসুন! আমাদের নামাযের ইমামতি করুন। ঈসা (আঃ) বলবেন: বরং তোমাদের আমীর তোমাদের মধ্যে হতেই। এই উম্মাতের সম্মানের কারণেই তিনি এ মন্তব্য করবেন।
আবু সাঈদ খুদরী রাসূল (সা) হতে বর্ণনা করেন: “ঈসা ইবনে মারইয়াম যেই ইমামের পিছনে নামায পড়বেন তিনি হবেন আমাদের মধ্যে হতে।
নবী (সা) বলেনঃ ততদিন দুনিয়া ধ্বংস হবেনা যতদিন না আমার পরিবারের একজন লোক আরবদের বাদশা হবেন। তাঁর নাম হবে আমার নামে এবং তাঁর পিতার নাম হবে আমার পিতার নামের অনুরূপ মু’মিন। অর্থাৎ তাঁর নাম হবে মুহাম্মাদ বিন আব্দুল্লাহ।