IQNA

মুসলিমদের সঙ্গে ভারতের বৈষম্যমূলক আচরণে উদ্বিগ্ন জাতিসংঘ মহাসচিব

22:19 - February 25, 2020
সংবাদ: 2610302
তেহরান (ইকনা)- মুসলিম জনগোষ্ঠীর সঙ্গে ভারত সরকারের বৈষম্যম‚লক আচরণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সম্প্রতি ভারতের পার্লামেন্টে পাস করা সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের কারণে দেশটির ২০ লাখ মুসলিম রাষ্ট্রহীন হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছেন বলেও তিনি উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন।

গুতেরেস বলেন, প্রতিটি দেশেরই উচিত তার সব নাগরিককে একই চোখে দেখা। কারও প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈষম্যম‚লক আচরণ করা রীতিমতো অন্যায়। পাকিস্তান সফররত জাতিসংঘের মহাসচিব মঙ্গলবার দেশটির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইট ওয়াচের মতো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কাশ্মীরে মুসলিম নির্যাতনের প্রতিবেদনগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে গুতেরেস বলেন, দেখুন কাশ্মীরে আজ কী হচ্ছে। সেখানে নির্বিচারে মুসলমানরা হত্যা, নির্যাতন, নারী ও শিশুরা সেনা সদস্যদের হাতে ধর্ষণের স্বীকার হচ্ছেন। শিশু-কিশোর থেকে সব বয়সী কাশ্মীরি মুসলিমদের বিনাকারণে জেলহাজতে আটক করে রাখা হচ্ছে। সেখানকার নেতৃবৃন্দকে মাসের পর মাস বিনাকারণে গৃহবন্দি করে রাখা হচ্ছে।

জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে পত্রিকাটির সাংবাদিকরা জানতে চান, এত কিছুর পরও জাতিসংঘের কোনো শক্তিশালী পর্যবেক্ষক দল এখন পর্যন্ত কাশ্মীর সফরে কেন গেল না? এর উত্তরে গুতেরেস বলেন, এটি জাতিসংঘের পরিচালনা কমিটি বা নিরাপত্তা পরিষদের দায়িত্ব। তবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনগুলো সত্য ও বিশ্বাসযোগ্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই।

ভারত দখলীকৃত কাশ্মীর উপত্যকায় একটি উচ্চ শক্তিসম্পন্ন তদন্ত কমিশন গঠন ও নৃশংসতা তদন্ত করতে কেন জাতিসংঘ ব্যর্থ হলো? এ প্রশ্নের জবাবে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, জাতিসংঘের শুধু গভর্নিং বডি বা নিরাপত্তা পরিষদ ওই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে ওইসব রিপোর্ট বিশ্বাসযোগ্য, প্রাসঙ্গিক ও অত্যন্ত গুরুত্বপ‚র্ণ।

এ সময় তিনি স্বীকার করে নেন যে, জাতিসংঘের বর্তমান কাঠামো এবং স্থায়ী পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রের ভেটো দেয়ার ক্ষমতা জাতিসংঘের উদ্দেশ্য প্রয়োগের সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
সূত্র: দ্য ডন/dailyinqilab

captcha