মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ইতালির নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।
করোনা প্রতিরোধে ইতালি সরকার ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সোমবার (২ মার্চ) থেকে ইতালির লোম্বারদিয়া, ভেনেতো, পিওমন্তে ও ভেনেসিয়া অঞ্চলে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। ইতালির ভেনিস উৎসবও বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ফুটবল লিগ, নাইট ক্লাব ও জাদুঘর বন্ধ রয়েছে।
ইতালিতে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে আছেন দেশটিতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরাও। ইতালির বিভিন্ন শহরে প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি বসবাস করছে।
এদিকে ইতালিতে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
ইতালিতে কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান সিকদার জানান, কোনো বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এমন খবর এখনো আমরা পাইনি। ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দূতাবাস সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে।
ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসে হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। যদি কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে ১৫০০ এবং ১১২ নাম্বারে ফোন করে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৭৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী ভাইরাসটিiqna