কিন্তু গত ডিসেম্বর থেকে স্কুলের কিছু শিক্ষক তাকে নির্ধারিত ড্রেস কোড ভাঙার জন্য সতর্ক করে আসছিলেন। ১২ বছরের ওই ছাত্রীকে স্কুলে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ পোশাক পরে আসার কারণে এরপর থেকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
দুই বছর আগে স্কুলটির ড্রেস কোড বিষয়ে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রত্যেক ছাত্রীকে কালো প্যান্ট বা হাঁটুর নিচ পর্যন্ত লম্বা স্কার্ট পরেই স্কুলে আসতে হবে।
ওই ছাত্রীর বাবা ইদ্রিস হামুদ জানান, ইউনিফর্মের বিষয়ে স্কুলটির সিদ্ধান্ত তার পরিবারের ইসলামি বিশ্বাসের বিরোধী। স্কুলে ওই ছাত্রী তার ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্যও নিপীড়নের শিকার হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে সিহাম বলে, ‘আমার নিজেকে মনে হতো অচেনা আগন্তুক। কেননা আমি কোনো বন্ধুকেই পাশে পাইনি। আমার ধর্মের জন্য তারা আমাকে গ্রহণ করেনি এবং এটি ভুল। আমি বিভ্রান্তি ও বিরক্তি অনুভব করেছি যে, আমার ধর্ম অনুসারে আমি কিছু পরতে পারবো না। আমি আশা করি, আমার মতো মেয়েদের স্কার্ট পরে যাওয়ার জন্য তারা তাদের নিয়ম পরিবর্তন করবে।’
পরিবারটি জানায়, ১ ডিসেম্বর স্কুলের শিক্ষকরা ওই ছাত্রীকে কিছু বলার আগ পর্যন্ত তারা জানতেন না যে, স্কুলের কোনো নিয়ম তারা লঙ্ঘন করছিলেন।
৯ ডিসেম্বর, ২০২০ তারিখে এক চিঠিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ পরিবারটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দেয়। চিঠিতে বলা হয়, স্কুল কর্তৃপক্ষ সিহামের অনুপস্থিতিকে অননুমোদিত হিসেবে বিবেচনা করছে। এর জন্য তারা অভিভাবকদের বিরুদ্ধে জরিমানা বা আইনি পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা করছে।
কোভিড-১৯ লকডাউনের কারণে সিহাম বর্তমানে বাড়ি থেকেই অধ্যয়ন করছে। কিন্তু পরিবারের আশঙ্কা, সমস্যা আবার শুরু হবে যখন যথারীতি স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্লাস করা শুরু করবে।
সূত্র : ইয়েনি সাফাক