ইসরায়েলি সূত্র জানায়, ইলাতের এ হামলায় বহু হতাহত হয়েছে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ড্রোনটি শনাক্ত করলেও, ধ্বংস করতে সক্ষম হয়নি। ধাপে ধাপে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হচ্ছে। সর্বশেষ তথ্যমতে অন্তত ২৭ জন আহত হয়েছে। যদিও ১৩ মিনিট ধরে সাইরেন বাজানো হয়েছিল।
হামাসের প্রতিক্রিয়া: ‘সুমুদ’ নৌবহরে ইসরায়েলি হামলা সন্ত্রাসী কার্যক্রম
হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েলি সেনারা আন্তর্জাতিক জলে মানবিক সহায়তা বহনকারী বৈশ্বিক নৌবহর সুমুদ–এর একাধিক জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। এটি স্পষ্ট সন্ত্রাসী কার্যক্রম এবং বিপজ্জনক পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তারা মানবিক সহায়তা পৌঁছানো থেকে নৌবহরকে বিরত রাখতে চাইছে।
হামাস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, জাতিসংঘ সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও মানবিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানায়—এই অপরাধের নিন্দা জানাতে, নৌবহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে।
ইতালির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর নিন্দা
ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুয়িদো ক্রোজেত্তো এই হামলার তীব্র নিন্দা করেন। তিনি জানান, ইতালির নৌবাহিনীর একটি জাহাজকে সুমুদ নৌবহরের সহায়তায় পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে ৫০টিরও বেশি জাহাজ গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় সমুদ্রসীমায় জড়ো হয়েছে এবং গাজার দিকে রওনা হয়েছে। তাদের লক্ষ্য—দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
নেগেভে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে যে তাদের একটি ড্রোন পশ্চিম নেগেভ এলাকায় ভূপাতিত হয়েছে। সেনাদের দাবি অনুযায়ী, এটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ঘটেছে।
গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের পাল্টা আঘাত
হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড ঘোষণা করেছে, তারা "আসা-ই-মূসা" অভিযানের অংশ হিসেবে দক্ষিণ গাজার তেল হাওয়া এলাকায় ইসরায়েলি সেনাদের একটি মারকাভা ট্যাংক "ইয়াসিন-১০৫" মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করেছে।
এছাড়া পূর্ব গাজার কারনি ঘাঁটিতে ইসরায়েলি সেনাদের সমাবেশকে ১১৪ মিমি মর্টার শেল ও স্বল্প পাল্লার রজুম রকেট দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
আল-কাসাম জানায়, "আসা-ই-মূসা" প্রতিরোধের প্রতীক। যেমন মূসার লাঠি ফেরাউনের জাদু ভেঙে দিয়েছিল, তেমনি গাজার প্রতিরোধও ইসরায়েলি সেনাদের সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেবে।
ইয়েমেনের ধারাবাহিক ড্রোন হামলা
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার ইয়াহইয়া সারি জানিয়েছেন, দক্ষিণ ফিলিস্তিন দখলকৃত এলাকা উম্মুররাশরাশ ও বির আল-সাবায়ে ইসরায়েলি স্থাপনায় দুটি ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে এবং হামলা লক্ষ্যবস্তুতে সঠিকভাবে আঘাত হেনেছে।
তিনি বলেন, "আমরা ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের পাশে আছি। গাজা থেকে অবরোধ ও আগ্রাসন প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে।" 4306969#