IQNA

জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে গভর্নর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত নারী রাজনীতিক

9:07 - October 04, 2025
সংবাদ: 3478188
ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত এক নারী রাজনীতিক, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী আইনপ্রণেতা হিসেবে ইকনা- পরিচিত, এবার সেই অঙ্গরাজ্যের গভর্নর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন।

ইকনা সূত্রে আল-জাজিরার বরাতে জানা গেছে, ৩২ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত রাজনীতিক ও সমাজকর্মী রওয়া রমান (Ruwa Romman) মার্কিন রাজনীতিতে ইতিহাস সৃষ্টি করে চলেছেন। তিনি ২০২২ সালে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত হয়ে প্রথম মুসলিম নারী এবং প্রথম ফিলিস্তিনি হিসেবে ওই রাজ্যের সরকারি পদে আসীন হন। এবার তিনি আরও এক ঐতিহাসিক সাফল্যের লক্ষ্য স্থির করেছেনযুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মুসলিম নারী গভর্নর হওয়ার।

রওয়া রমান গভর্নর নির্বাচনে জয়ী হলে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্ভাব্য মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে বলেন:

আমি এখানে লড়াই খুঁজতে আসিনি, তবে মনে রাখবেনযখন আপনার প্রতিনিধিত্ব করবে একজন ফিলিস্তিনি নারী, সে কখনোই সংগ্রাম থেকে পিছিয়ে যাবে না।

তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদতাদের মধ্যে রয়েছেন আটলান্টার সাবেক মেয়র ও জো বাইডেনের সাবেক উপদেষ্টা কেইশা ল্যান্স বটমস, এবং সাবেক রিপাবলিকান উপ-গভর্নর জেফ ডানকান, যিনি সম্প্রতি ডেমোক্র্যাট দলে যোগ দিয়েছেন। তারা সবাই এমন একটি রাজ্যে গভর্নর পদে ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়নের জন্য লড়ছেন, যা গত ২২ বছর ধরে রিপাবলিকানদের দখলে রয়েছে।

গত বছর রওয়া রমানের নাম উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন ফিলিস্তিনি-মার্কিন নেতার তালিকায়, যাদের নন-অ্যালাইমেন্ট মুভমেন্ট (ডেমোক্র্যাট পার্টির একটি লবিং গ্রুপ) প্রস্তাব করেছিল ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশন (DNC)-এ বক্তা হিসেবে। এর লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েল-পন্থী নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান পরিবর্তনে দলটিকে উৎসাহিত করা।

রওয়া রমান জর্জিয়ার ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী আইনপ্রণেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি হিজাব ও ঐতিহ্যবাহী ফিলিস্তিনি পোশাকে শপথ গ্রহণের পর টুইটারে লিখেছিলেন:

আজ আমি জর্জিয়া পার্লামেন্টের ৯৭ নম্বর জেলা থেকে প্রতিনিধি হিসেবে শপথ নিয়েছিএই রাজ্যের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী ও প্রথম ফিলিস্তিনি হিসেবে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীর নাতনি ও একজন অভিবাসী নারী হিসেবে রওয়া রমান বলেন, রাজনীতিতে এই অবস্থানে পৌঁছানো সহজ ছিল না। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সংবাদপত্রকে জানান: প্রথমে আমি এই পদে প্রার্থী হতে চাইনি। আমি শুধু জর্জিয়ার মুসলিম ভোটার প্রকল্পেএক বন্ধুকে সাহায্য করছিলাম এবং মুসলিম নারীদের আমেরিকান রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে কাজ করছিলাম।” 4308247#

captcha