
ইকনা সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আল-আরাবি আল-জাদিদের সূত্রে জানা যায়: ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজা উপকূল থেকে ১২০ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ২২০ কিলোমিটার) দূরত্বে অবস্থানরত ফ্লোটিলার জাহাজগুলোতে হামলা চালায়। এই বহরটি পূর্বে বিশ্ব শান্তি নৌবহর-এর সমর্থনে গাজামুখী যাত্রা শুরু করেছিল।
কমিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানায়, ভোর ৪টা ৩৪ মিনিটে (স্থানীয় সময়) তিনটি জাহাজ— “গাজা সান বার্ডস”, “আলা আল-নাজার” ও “আনাস আল-শরিফ”— ইসরায়েলি নৌবাহিনীর হামলার শিকার হয় এবং সম্পূর্ণভাবে অবৈধভাবে আটক করা হয়।
কমিটি এক ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যায়—ইসরায়েলি এক নৌসেনা “সান বার্ডস” জাহাজে হামলার সময় ক্যামেরা লেন্সে আঘাত করে ঘটনার চিত্র ধারণ বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
যদিও এখনো মানবাধিকারকর্মীদের অবস্থান জানা যায়নি, ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, বহরের নৌযান ও যাত্রীরা নিরাপদে আছে, তাদের দখলকৃত ভূখণ্ডের এক বন্দর-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং দ্রুত নির্বাসিত করা হবে।
এর আগে ১ অক্টোবর, আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থা İHH ঘোষণা করেছিল যে, ইউরোপীয় অংশগ্রহণে গঠিত আন্তর্জাতিক “ফ্রিডম ফ্লোটিলা” ইতালির ও সিসিলি দ্বীপের বন্দর থেকে গাজামুখী যাত্রা শুরু করেছে— যা পূর্ববর্তী “শান্তি বহর”-এর প্রতি সংহতি প্রকাশের উদ্দেশ্যে সংগঠিত হয়েছিল; ঐ বহরটিও ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছিল এবং এর সকলে আটক হয়েছিল।
এই আন্তর্জাতিক বহরটি ১১টি জাহাজ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে একটি জাহাজ “উজদান” নামে পরিচিত, যা চিকিৎসা সরঞ্জাম ও মানবিক সহায়তা বহন করছিল। এতে ছিলেন বিভিন্ন দেশের মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক, চিকিৎসাকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।
উল্লেখ্য, এর আগে ইসরায়েলি বাহিনী প্রায় ৪০টি আন্তর্জাতিক শান্তি বহর (সামুদ) আটক করে এবং শত শত কর্মীকে অপহরণ করে, যারা গাজার অবরোধ ভেঙে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার মিশনে অংশ নিয়েছিলেন।
ইসরায়েলের এই সাম্প্রতিক হামলা বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। বিশেষত ইউরোপের বিভিন্ন শহরে বৃহৎ বিক্ষোভ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে মানবিক বহর আটকানোর ঘটনাকে কঠোরভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে। 4309498#