‘Press TV’র বরাত দিয়ে কুরআন বিষয়ক বার্তা সংস্থা ইকনা’র রিপোর্ট: ৬০ বছর যাবত রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা মুসলমানেরা জীবনযাপন করছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের নতুন পরিকল্পনা ফলে, দশ লাখের অধিক মুসলমান তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারেনি। এবং তারা নির্বাসনে যেতে বাধ্য হচ্ছে।
মিয়ানমারের মুসলমানদের পরিস্থিতি সম্পর্কে মানবাধিকার সংস্থা আরাকান নামক এক প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্প সম্পর্কে উক্ত সংস্থা জানিয়েছে: গত সপ্তাহে প্রায় ১৪৫০০ জন রোহিঙ্গা মুসলমান রাখাইন প্রদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য থাইল্যান্ডে গিয়েছে।
মিয়ানমার সরকারের নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, মিয়ানমারের নাগরিক হিসাবে যারা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে, শুধুমাত্র তাদেরকে নতুন নাগরিকত্ব কার্ড প্রদান করা হবে এবং মিয়ানমারের অন্যান্য নাগরিকের চেয়ে তাদেরকে অধিকার কম থাকবে। সরকার ইচ্ছা করলে ভবিষ্যতে এ নাগরিকত্ব বাতিল করতে পারবে।
এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ শর্তের মধ্যে যারা রয়েছে, মিয়ানমারের সরকার তাদেরকে স্বীকার করে নিলেও তাদের নাগরিকত্ব কার্ডে বাঙ্গালী জাতি হিসেবে তাদেরকে পরিগণিত করা হবে এবং এ কাজ করতে যদি তারা রাজি না হয় তাহলে তাদেরকে বন্দি করা হবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট মিয়ানমার সরকারের এ পরিকল্পনার অবসানের আহ্বান জানিয়েছে রাইটস রাইটস ওয়াচ।
মিয়ানমারের সরকারের পক্ষ থেকে ১৩ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান নাগরিকত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত সম্প্রদায় হচ্ছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানেরা।
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানেরা ১৯৪৮ সাল থেকে সেদেশ স্বাধীন ভাবে জীবনযাপন করছে। সম্প্রতি চরমপন্থি বৌদ্ধদের হামলা ফলে তারা দেশে ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছে।
1470928