
এর মানে সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় আস-সুওয়াইদা প্রদেশ বিচ্ছিন্ন করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সাথে সাথে সিরিয়ার কুর্দি অঞ্চলকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিচ্ছিন্ন করার স্বীকৃতি আদায় করিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারাও শুরু করেছে পশ্চিমারা ইসরাইলের পা চাটা দামেশকের পাপেট সন্ত্রাসী জূলানীগূলানী সরকারের কাছ থেকে।আর এগুলো হচ্ছে গর্দভ উল্লুক সালাফী তাকফীরী ওয়াহাবী গোষ্ঠীসমূহ ও মাথামোটা আহমক গর্দভ সুন্নীদের বাশার আসাদ সরকার বিরোধী বাতিল অবৈধ হারাম তথাকথিত জিহাদের অশুভ ফল ও পরিণতি যা এখন সিরিয়া বাসীদের ভোগ করতে হবে!! আর এ অশুভ ফল ও পরিণতির মধ্যে রয়েছে সিরিয়ার ওপর ইসরাইলের আধিপত্য ও কর্তৃত্ব যা আপাতত: ইসরাইলকে গাযা ও লেবাননের হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধের পরাজয় থেকে কিছুটা নিষ্কৃতি দিয়েছে। সিরিয়ায় বাশার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে সালাফী ওয়াহহাবী তাকফীরী গোষ্ঠী সমূহের তথাকথিত জিহাদ আসলে মোটেও ইসলাম স্বীকৃত জিহাদ নয় বরং এটা একটা সিউডো ও অবৈধ হারাম জিহাদ। যে জিহাদ ইসলামের শত্রুদের স্বার্থানুকূলে এবং মুসলমানদের ওপর ইসলাম ও মুসলমানদের শত্রুদের কর্তৃত্বশীল করে দেয় তা আসলেই ইসলামী শরয়ী জিহাদ নয়। সিরিয়ায় এসব গোষ্ঠীর তথাকথিত জিহাদ বাশার আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে পুরো দেশের ওপর ইসরাইলের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে।
তাই সিরিয়ায় জূলানী গূলানী গংদের নেতৃত্বে সালাফী,তাকফীরী ওয়াহহাবী গোষ্ঠীসমূহের জিহাদ হচ্ছে শয়তানের পন্থা,মাধ্যম ও হাতিয়ার। আসলে এ সব তাকফীরী,সালাফী ওয়াহাবী গোষ্ঠীর ঈমান নেই এবং এরা সবাই মহান আল্লাহ,রাসূল,ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর চরম ভয়ঙ্কর দুশমনদের বেতনভুক পোষ্য চর ও এজেন্ট। এ সব গোষ্ঠীর ঈমান থাকলে কিভাবে এরা যায়নবাদী ইসরাইলের আধিপত্য ও কর্তৃত্ব মেনে নেয় এবং ইসরাইলের সাথে সন্ধি ও মৈত্রী চুক্তি করার ঘোষণা দেয়। আসলে এখন সিরিয়ার ওপর ইসরাইলের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েই গেছে অথচ প্রায় দুই বছর ধরে আগ্রাসন,যুদ্ধ ও ৬৩০০০এর অধিক গাযাবাসীকে গণহত্যা করেও এখন পর্যন্ত গাযা দখল করতে পারে নি। ইসরাইলের পাচাটা বদমাইশ এজেন্ট জূলানী গূলানী ও ওর সরকার ঘোষণা করেছে যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আর যুদ্ধ করবে না তারা।এ থেকে প্রতীয়মান ও প্রমাণিত হয় যে এই সন্ত্রাসী জূলানী গূলানী ও তার দলের কোনো ঈমান নেই। জূলানী গূলানীর এ ঘোষণা
(( ওয়া লান ইয়াজ'আলাল্লাহু লিলকাফিরীনা আলাল মু'মিনীনা সাবীলা وَلَنْ یَجْعَلَ اللّٰهّ لِلْگَافِریْنَ عَلَی الْمُسْلِمٍیْنَ سَبِیْلَاً) অর্থাৎ মহান আল্লাহ কখনই মুমিনদের ওপর কাফিরদের আধিপত্য ও শাসন কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার পথের বৈধতার বিধান প্রদান ও প্রণয়ন (তাশরী') করেন নি (সূরা-ই নিসা:১৪১)-পবিত্র কুরআনের এ আয়াতের সুস্পষ্ট লংঘন ও বিরোধী।
অর্থাৎ মুসলমানদের উচিত নয় কাফির মুশরিকদের আধিপত্য, কর্তৃত্ব ও শাসন মেনে নেওয়া। তাই এ ধরনের কর্তৃত্ব ও আধিপত্য যেমন সম্পূর্ণ নাজায়েয (অবৈধ) ঠিক তেমনি তা মেনে নেওয়াও সম্পূর্ণ অবৈধ,নাজায়েয ও হারাম। তাই কাফির-মুশরিকরা যদি কোনো মুসলিম অঞ্চল,এলাকা ও দেশের ওপর প্রাধান্য,কর্তৃত্ব ও আধিপত্য স্থাপন এবং তা দখল করে তাহলে সকল মুসলমানের ওপর ফরয হবে সেই আধিপত্য,কর্তৃত্ব, শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও জিহাদ করা।আর জূলানী গূলানী ও তার সন্ত্রাসী দলটি বাশার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৩ বছর অবৈধ ফালতু হারাম জিহাদ ও যুদ্ধ করার পর এখন সিরিয়ার ওপর আধিপত্য ও কর্তৃত্ব বিস্তার কারী ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদ না করে বরং সন্ধি করার যে ঘোষণা ও প্রস্তাব দিয়েছে তা সর্বৈব নাজায়েয,হারাম ও অবৈধ পবিত্র কুরআনের উপরিউক্ত আয়াতের আলোকে।এখন জূলানী গূলানী ও তার দলবল ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু ইসরাইলের পা চাটা গোলাম ও ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে।এরপরও কি সুন্নী বিশ্ব ইসরাইলের পা চাটা কুত্তা সদৃশ এই ভৃত্য ও গোলাম জুলানীগূলানীকে সমর্থন করবে?!!!
সিরিয়াকে কার্যতঃ ভেঙে টুকরো টুকরো করার জন্য কানাডা আবার নতুন প্রস্তাব দিয়েছে।আর তার হলো যে জূলানী-গূলানীর নেতৃত্বে সিরিয়ার নয়া প্রশাসন যদি সিরীয় কুর্দীদের স্বায়ত্তশাসন দেয় তাহলে সিরিয়ার নয়া প্রশাসন স্বীকৃতি পাওয়ার বৈধতা লাভ করবে!এখন এই সালাফী তাকফীরী ওয়াহহাবী সরকার যদি খাঁটি মুওয়াহহিদ ( তৌহিদবাদী) হয় তাহলে মহান আল্লাহর স্বীকৃতি না নিয়ে কেন কাফির মুশরিক ইহুদী নাসারাদের কাছে দ্বারস্থ হচ্ছে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য? এদের ঈমান আছে নাকি এরাও স্বীকৃতি দাতার মতো বিধর্মী?!!?
এ সব সালাফী ওয়াহহাবী তাকফীরীদের ঈমানের দৌড় বোঝা গেল। এরা যত সব রাবিশ নিকৃষ্ট খবীস ছাড়া আর কিছুই নয়।
ইসলামী চিন্তাবিদ এবং গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান,