বার্তা সংস্থা ইকনা: ওয়াসিত প্রদেশের গভর্নর ‘মালিক খালাফুল ওয়াদি’র তত্ত্বাবধানে এবং ইমাম হুসাইন (আ.)এর মাজারের সহযোগিতায় পবিত্র কোরআনের চতুর্থ আন্তর্জাতিক ফেস্টিভাল ‘সাঈদ ইবনে জুবায়ের’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উক্ত কুরআন ফেস্টিভালে ইরান, তানজানিয়া, পাকিস্তান, ভারত ও ব্রিটেন সহ অন্যান্য দেশের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিন দিন ব্যক্তি উক্ত আন্তর্জাতিক ফেস্টিভালে সমাপনী অনুষ্ঠান আগামীকাল (১০ম মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে।
চতুর্থ আন্তর্জাতিক কুরআন ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়াসিত প্রদেশের গভর্নর ‘মালিক খালাফুল ওয়াদি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন: উক্ত ফেস্টিভালে দেশি ও বিদেশি ক্বারি ও হাফেজগণ উপস্থিত হওয়ার ফলে ওয়াসিত প্রদেশ কুরআনে সুগন্ধে সুবাসিত হয়েছে।
তিনি বলেন: চলতি বছর ‘সাঈদ ইবনে জুবায়ের’ আন্তর্জাতিক কুরআন ফেস্টিভাল এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ইরাকের জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ইরাকের বীর যোদ্ধারা তাদের সাধ্য মত তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
মালিক খালাফুল ওয়াদি বলেন: দায়েশ ইসলামের প্রকৃত রূপকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তাদের দখলকৃত অঞ্চলে নিজেদের বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গণহত্যা চালাচ্ছে এবং প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী স্থান ধ্বংস ও লুটপাট করছে।
তিনি আরও বলেন: ‘সাঈদ ইবনে জুবায়ের’ আন্তর্জাতিক কুরআন ফেস্টিভালের উপান্তে উক্ত প্রদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় ৬০টি কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এসকল মাহফিলের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, সমাজে কুরআনে সংস্কৃতির বিস্তার ঘটানো।
বলাবাহুল্য, চতুর্থ
ইমাম হযরত সাজ্জাদ (আ.)এর একনিষ্ঠ ভক্তি ছিলেন সাঈদ ইবনে জুবায়ের। তিনি
কুরআনে হাফেজ, ক্বারি ও মুফাস্সের ছিলেন। বানি উমাইয়ার খিলাফতকালে ইরাক ও
হেজাজের সবচেয়ে অত্যাচারী পাপিষ্ঠ গবর্নর হাজ্জাজ বিন ইউসুফ সাকাফির হাতে
৯৫ হিজরিতে সাঈদ ইবনে জুবাইর শহিদ হন। সাঈদ ইবনে জুবাইর ইমাম আলী (আ.)এর
খিলাফতকালে ইরাকের কুফা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার সময়ে জ্ঞানী
ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন।#