ইমাম খোমেনী (রহ.) কখনো মার্কিন খবরদারির কাছে মাথানত করেন নি। তিনি একমাত্র আল্লাহর উপর ভরসা করে এ আধুনিক বিশ্বে একটি শক্তিশালী ইসলামী বিপ্লব প্রতিষ্ঠা করে প্রমাণ করেছেন যে, ইসলাম কোন যুগের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনার রিপোর্ট: আগামীকাল ৩রা জুন শুক্রবার ইসলামী
বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেনীর (রহ.) ২৭তম ওফাত বার্ষিকী। এ উপলক্ষে এক
অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে ইরানের নেতা নির্বাচনী পরিষদের সদস্য হযরত
আয়াতুল্লাহ হায়েরী শিরাজী বলেন: আহলে বাইত (আ.) সব সময় আমাদের উপযুক্ত ও
মোক্ষম নেতৃত্ব দিয়ে বাচিয়ে রেখেছেন। আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.) যদি রাসূলের
(সা.) ওফাতের পর চরম ধৈর্য ও সহিঞ্চুতার পরিচয় না দিতেন, তাহলে ইসলাম শতধা
বিভক্তির শিকার হত। পাশাপাশি নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরা (আ.) রাতের
আধারে তার দাফন-কাফনের ওসিয়াত করে পরবর্তী প্রজন্মের নিকট মুনাফেকদের
চেহারা প্রকাশ করে গেছেন। তিনি স্বীয় কবর মোবারক চিরদিনের জন্য গোপন রাখার
মধ্য দিয়ে ইসলামের এক অব্যক্ত সত্যকে রহস্যাবৃত রেখেছেন।
তিনি বলেন: ইরানের ইসলামী বিপ্লবের স্থপতি ইমাম খোমেনী (রহ.) স্বীয় বাস্তব
জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং তার স্থলাভিষিক্ত আমিরুল
মু'মিনিন আলী (আ.) এবং তার কলিজার টুকরা নবী নন্দিনী হযরত ফাতেমা যাহরার
(আ.) অনুসৃত পথকে অনুসরণ করেছেন। তাই তিনি কখনও বাতিল ও তাগুত শক্তির সাথে
আপোষ করেন নি।
হযরত আয়াতুল্লাহ হায়েরী শিরাজী বলেন: ইমাম খোমেনী (রহ.) সব সময় আমেরিকার
নেতৃত্বকে তাগুতি তথা শয়তানী নেতৃত্ব মনে করতেন। এ কারণে তিনি কখনও মার্কিন
নেতৃত্বের কাছে মাথা নত করেন নি এবং এক্ষেত্রে কারও সাথে কখনও আপোষ ও
সমঝোতাকেও মেনে নেন নি।