
আল-মাসিরাহ টিভি চ্যানেলে প্রচারিত ভাষণে তিনি বলেন, “ইসরাইল আমেরিকা ও বৃটেনের সরাসরি সহযোগিতায় গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা পশ্চিমা ঔপনিবেশিকতারই ধারাবাহিকতা। আমেরিকা আজ বৃটেনের উত্তরাধিকারী হয়ে জাতিসমূহকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমারা ফিলিস্তিন দখল করে দিয়েছে যাতে ‘ইসরাইল বৃহৎ’ নামে বিশাল এলাকা দখল করা যায়। তারা মুসলিম দেশগুলোতে শিক্ষা, মিডিয়া ও সংস্কৃতির ওপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করেছে যাতে মুসলিম উম্মাহ সবসময় পশ্চাদপদ ও শত্রুর দাস হয়ে থাকে।”
সাইয়্যেদ হুতি সতর্ক করে বলেন, “ইসরাইল আমেরিকা-বৃটেন ও তাদের এজেন্টদের সাহায্যে মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিতে চায়। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে পুরো অঞ্চল ইসরাইলের পায়ের তলায় চলে যাবে। এই দাসত্ব কোনো স্বাধীন জাতি মেনে নিতে পারে না।”
তিনি ইয়েমেনের জনগণকে আগামীকাল (শুক্রবার) সানার আল-সাবঈন চত্বরে লাখো-কোটি জনতার সমাবেশে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন,
“এই বিশাল উপস্থিতি প্রমাণ করবে যে, ইয়েমেনের জাতি ফিলিস্তিন, লেবানন ও পুরো উম্মাহকে ইসরাইলি নেকড়ের মুখে একা ফেলে দেবে না। আমরা সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে প্রস্তুতি অব্যাহত রেখেছি। আত্মসমর্পণ মানেই দুনিয়া-আখেরাতে লাঞ্ছনা ও ক্ষতি।”
ইয়েমেনের জনগণ প্রতি শুক্রবার লাখো-কোটি মানুষের এই সমাবেশের মাধ্যমে ফিলিস্তিন ও লেবাননের প্রতি সংহতি এবং ইসরাইল-আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধের অঙ্গীকার নবায়ন করে আসছে। 4319899#