
কায়রো২৪-এর বরাতে ইকনা নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, হাজ্জা ফাতিমা একজন গৃহিণী ছিলেন যিনি পড়তে-লিখতে জানতেন না। কুরআন পড়ার স্বপ্ন দেখে ৬০ বছর বয়সে তিনি সাক্ষরতা ক্লাসে ভর্তি হন।
তিনি বলেন: “যখন সাক্ষরতা ক্লাসে নাম লেখাতে গেলাম, অনেকে হেসে বলল — ‘বুড়ো বয়সে এখন বইয়ের শখ হলো?’ কিন্তু আমার শিক্ষক বললেন, ‘বইটা শক্ত করে ধরো, এটা তোমার গর্বের জিনিস।’”
সমাজের উপহাস ও লজ্জা উপেক্ষা করে মাত্র এক বছরে তিনি পড়া-লেখা শিখে ফেলেন এবং তারপর কুরআন হিফজ শুরু করেন। প্রথমবার পুরো কুরআন পড়া ও মুখস্থ করার পর তিনি বলেন: “আমার আনন্দের সীমা ছিল না।”
ক্বেনা প্রদেশের গভর্নর বলেছেন: “হাজ্জা ফাতিমার গল্প প্রমাণ করে — জ্ঞানার্জনের কোনো বয়স নেই। খাঁটি ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো বাধা অতিক্রম করা যায়।”
তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, এখন থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণের সচেতনতামূলক সেমিনারে হাজ্জা ফাতিমাকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তিনি যেন অন্যদের জন্য জীবন্ত উদাহরণ হয়ে উঠতে পারেন যে, যেকোনো বয়সে নতুন করে শিক্ষা শুরু করা সম্ভব। 4320599#
