
শাবিস্তানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ইকনা: হাদিসে বর্ণিত হয়েছে ইমাম মাহদীর (আ.) আগমনের পূর্বে সমাজ ও মানুষের অবস্থা এমন হবে যে, মুমিন রাতে নিজের ঈমান নিয়ে ঘুমাবে সকাল হলে সে কাফের অবস্থায় জাগরিত হবে বা তার বিপরীত কাফের রাতে নিজের ঈমান নিয়ে ঘুমাবে সকাল হলে সে মুমিন অবস্থায় জাগরিত হবে।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, শেষ যুগে এমন কেউ থাকবে না যে, সে সুদ খাবে না বা সে সুদের প্রতি আসক্ত হবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা এ সম্পর্কে কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে উল্লেখ করেছেন।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, শেষ যুগে ধর্ম পালন হাতে আগুন নিয়ে দাড়িয়ে থাকার মতো হয়ে দাঁড়াবে। মুমিনদের ঈমান রক্ষার অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়াবে যে, যেভাবে শিয়াল তার নিজের বাচ্চাদের জীবন রক্ষার জন্য এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ছুটে বেড়ায় সেভাবে ছুটে বেড়াবে এবং কোন হক্ব কথা বলতে পারবে না। আর যদি কথা বলে তাদেরকে হত্যা করা হবে। আর যদি চুপ থাকে তাহলেও তারা লুণ্ঠিত হবে।
মানুষ মসজিদে থাকবে কিন্তু তাদের অন্তর থাকবে অন্য স্থানে এবং তারা একে অপরের সাথে দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকবে। একজন অপরজনকে হত্যার ফতুয়া দান করবে একে অপরকে মানবে না এবং সর্বদা ফেতনায় লিপ্ত থাকবে।
ফেসাদ এবং পতিতা বৃত্তির আধিক্যেতা দেখা দিবে। পূর্বে ইয়াহুদি, খৃষ্টান এবং হিন্দু ছাড়া মুসলমান সমাজের অবস্থা কখনোই এমনটি ছিল না। কিন্তু এখন আমরা আমাদের সমাজের প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখতে পাই যে, আমরা কোন সমাজে বসবাস করছি, যেখানে নাচ, গান, ডিস্কো এবং নারী বাজিতে সমাজ নিমজ্জিত রয়েছে।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে যে, সমকামিতা এমন এক অবস্থায় পৌঁছাবে যে, তা মানুষের জন্য গর্বের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
গুনাহের পরিমাণ এতই বেশি হয়ে গেছে যে ক্যাথলিকরা সমকামিতাকে স্বীকৃতি দান করেছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে তারা সমকামিতাকে গ্রহণ করেছে। তারা গর্ব করে বলে যে, যারাই সমকামিতার বিরোধিতা করবে তারা মানবাধিকার কে খর্ব করলো।