অর্থনৈতিক একটি সমস্যা হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার না করা৷ না মাটির সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না পানিকে মাটির উর্বরতার জন্য সঠিকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে৷ ইমাম মাহদীর (আ.) হুকুমতের বরকতে আকাশ উদারভাবে বৃষ্টি দিবে এবং মাটিও উদারভাবে ফসল দান করবে৷
ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: ولو قد قائمونا لانزلت السماء قطرها و لاخرجت الارض نبتها
আমাদের কায়েম যখন কিয়াম করবে তখন আকাশ উদারভাবে বৃষ্টি দিবে এবং মাটিও উদারভাবে ফসল দান করবে (বিহারুল আনওয়ার খণ্ড- ১০, পৃ.-১০৪, খিসাল ৬২৬)৷
ইমাম মাহদী (আ.)-এর হুকুমতের সকল সম্পদ ইমামের হাতে থাকবে এবং তিনি তা দিয়ে একটি সুষ্ঠ অর্থব্যবস্থা গড়ে তুলবেন৷
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: تطوی له الارض و نظهر له الکنوز
ভূমি পেঁচিয়ে উঠবে এবং তার মধ্যে লুকাইত সকল সম্পদ প্রকাশিত হবে (কামালুদ্দিন খণ্ড- ১, বাব ৩২, হাঃ ১৬, পৃ.-৬০৩)৷
সম্পদের সঠিক বণ্টন: পুজবাদি অর্থ ব্যবস্থার মূল সমস্যা হচ্ছে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে সম্পদ কুক্ষিগত হওয়া৷ সর্বদাই এমনটি ছিল যে, সমাজের এক দল প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জনসাধারণের সম্পদকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করত৷ ইমাম মাহদী (আ.) তাদের সাথে সংগ্রাম করবেন এবং জনসাধারণের সম্পদকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দিবেন৷ এভাবে তিনি হযরত আলী (আ.)-এর ন্যায়বিচারকে সবার কাছে প্রমাণ করবেন৷
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: اذا قام قائم اهل البيت قسم بالسوية و عدل فی الرعية
রাসূল (সা.)-এর আহলে বাইতের কায়েম যখন কিয়াম করবেন সম্পদের সঠিক বণ্টন করবেন এবং সবার সাথে ন্যায়ভিত্তিক আচরণ করবেন (গাইবাতে নোমানি, বাব ১৩, হাঃ ২৬, পৃ.-২৪২)৷
ইমাম মাহদী (আ.)-এর সময়ে সাম্য ও সৌহার্দ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সকলেই তাদের ঐশী ও মানবিক অধিকার প্রাপ্ত হবে৷
রাসূল (সা.) বলেছেন: আমি তোমাদেরকে মাহদীর সুসংবাদ দান করছি৷ আমার উম্মতে তার আগমন ঘটবে, সে সম্পদের সঠিক বণ্টন করবে৷ একজন সাহাবি জিজ্ঞাসা করল: তার অর্থ কি? রাসূল (সা.) বললেন: অর্থাৎ মানুষের মধ্যে সাম্য প্রতিষ্ঠা করবে (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড- ৫১, পৃ.-৮১)৷
এই সাম্যের ফলাফল হচেছ সমাজ থেকে দরিদ্রতা দূরীভূত হবে এবং শ্রেণী বৈষম্য দূর হয়ে যাবে৷
ইমাম বাকের (আ.) বলেছেন: ইমাম মাহদী (আ.) সবার সাথে সমান আচরণ করবেন যার ফলে সমাজে আর কোন যাকাত প্রাপ্ত লোকের সন্ধান পাওয়া যাবে না (বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড- ৫১, পৃ.-৩৯০)৷