
কারবালা অধ্যয়ন ও গবেষণা কেন্দ্রের বরাতে ইকনা জানিয়েছে, কারবালা মহানগরীর আশপাশে বেশ কিছু প্রাচীন গুহা ও টিলার সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: “আল-তার” গুহাসমূহ এবং “আকওয়ার” অঞ্চলের টিলা, সমতল ভূমি ও প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষ
এসব স্থান ফোরাত নদীর তীরবর্তী হওয়ায় প্রাচীনকালে এখানে কৃষিভিত্তিক গ্রাম গড়ে উঠেছিল। সময়ের সাথে সাথে এগুলো স্থায়ী মানব বসতিতে পরিণত হয়।
“কারবালা সভ্যতার বিশ্বকোষে” উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ অঞ্চলের প্রাচীন গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে: গাজিরা বনি আসাদ, আল-আকর, দক্ষিণ নিনাওয়া (যার নাম সম্ভবত উত্তর নিনাওয়ার সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধির কারণে এসেছে) এবং শিফিয়া গ্রাম—যা বর্তমান কারবালার খুব কাছাকাছি অবস্থিত ছিল।
কারবালার পশ্চিমাংশে আইন আত-তামর এলাকায় প্রাচীন স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এছাড়া রাজ্জাজা হ্রদের আশপাশে রয়েছে: খান আল-আতশান (ইরানি শাসনামলের স্মারক), মনারা মাওজিদা এবং আল-আকাইসার গির্জা—যা অঞ্চলের প্রাচীনতম খ্রিস্টান উপাসনালয়গুলোর একটি।
এছাড়া অসংখ্য মঠ, গির্জা ও ধর্মীয় স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে, যা প্রমাণ করে যে প্রাচীনকালে এ অঞ্চলে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করত।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কারবালার পশ্চিমাঞ্চলে এখনো অনেক স্থান অখনন রয়েছে। ভবিষ্যতে এসব স্থানের খননকার্য সম্পন্ন হলে কারবালার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ইতিহাস আরও স্পষ্টভাবে প্রকাশ পাবে। 4322011#