IQNA

কুরআনের দৃষ্টিতে ইসতিগফার/৪

দুনিয়া ও আখিরাতে ইসতিগফারের ফলাফল ও প্রভাব

22:03 - December 16, 2025
সংবাদ: 3478615
ইকনা - কুরআন ও হাদিসের আলোকে ইসতিগফার মানুষের দুনিয়াবী ও আখিরাতী জীবনে অসংখ্য প্রভাব ও ফলাফল বয়ে আনে।

ইসতিগফার শুধু গুনাহ মোচন করে না, বরং শয়তানকে দূরে সরিয়ে দেয়, অন্তরকে উজ্জ্বল করে, হৃদয়ে ইলমের নূর জ্বালিয়ে দেয়, দুঃখ-কষ্ট দূর করে, রিজিকে প্রশস্ততা আনে এবং সংক্ষেপে বলা যায়, দুনিয়া ও আখিরাতের সব ধরনের আফাত ও বিপদ থেকে রক্ষা করে এবং নানা প্রকারের বরকত ও কল্যাণ নিয়ে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আধ্যাত্মিকতার দুনিয়াবী জীবনে প্রভাব আছে বলে বিশ্বাস করা, কখনোই ভৌত কারণ-কার্যের ভূমিকাকে খাটো করা নয়। বরং ভৌত উপাদানের পাশাপাশি ইসতিগফারের মতো আধ্যাত্মিক কারণগুলোও জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। উদাহরণস্বরূপ, হযরত সালেহ (আ.) তাঁর কওমকে বলেছিলেন: “তোমরা কেন ইসতিগফার করো না যাতে তোমরা রহমতের অন্তর্ভুক্ত হও?” (সূরা নামল: ৪৬)। আর হযরত হুদ (আ.) ইসতিগফারের একটি ফল হিসেবে দুনিয়াতে উত্তম জীবনযাপন ও মনোরম জীবন (‘মাতা‘আন হাসানা’) এবং মানসিক প্রশান্তির কথা উল্লেখ করেছেন।

ইসতিগফার বিশেষ করে বরকতময় মুহূর্ত ও সময়ে করলে তার প্রভাব আরও বেশি হয়। কারণ মানুষের আমল ও তার জীবনের ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে একটি সৃষ্টিগত সম্পর্ক রয়েছে। সৃষ্টিতত্ত্ব আল্লাহর ইচ্ছানুযায়ী প্রতিটি আমলের প্রতি উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং সেই আমলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ফলাফল দুনিয়াতেই প্রদান করে।

ফলে কিছু যিকির ও আমল জীবনে প্রচুর বরকত, দুনিয়াবী ও আখিরাতী কল্যাণ বর্ষণ করে, আবার কিছু কথা ও কাজ বিপদ-আপদ ও দুর্ঘটনা নিয়ে আসে। তবে পবিত্র কুরআন মানুষকে এই সম্পর্কের চেয়েও উচ্চতর দৃষ্টিভঙ্গি অবলম্বন করতে আহ্বান জানায়, যাতে সৎকর্মের প্রতি আঁকড়ে ধরে এবং পাপকর্ম ত্যাগ করে দুনিয়া ও আখিরাতে সৌভাগ্য লাভ করা যায়।

 

ট্যাগ্সসমূহ: আখিরাত ، দুনিয়া ، কুরআন ، ইকনা
captcha