নিসের মসজিদ এবং ইউনিয়ন অব মুসলিম অব আল্পস-মেরিটাইমের সভাপতি 'ওসমান আইসসাওই' সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বলেন: সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের জন্য মুসলমানেরা সর্বদা আতঙ্কে রয়েছে এবং এ বিষয়টি রাজনৈতিক হওয়ার কারণে মুসলমানেরা আরও বেশী আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
তিনি বলেন: ফ্রান্সের সকল জনগণের একটি যৌথ দায়িত্ব রয়েছে; সেটি হচ্ছে মুসলমানদের প্রতি ফ্রান্সের সকল অভিজাত রাজনীতিবিদ, মিডিয়া, পেশ ইমাম, প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্ববোধ থাকা উচিত।
ওসমান বলেন: নিহতদের মধ্যে মরক্কোর ৬০ বছরের বৃদ্ধা ফাতিমা চারিহি রয়েছে। তিনি ৭ শিশুর জননী। আমি যেটা বলতে চাচ্ছি, সেটি হচ্ছে ফাতিমা চারিহি সর্বদা হিজাব ব্যবহার করতেন। নিহতের সময় তার পরনে ইসলামি হিজাব ছিল। তিনি ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে, তাদের ঘৃণা করতেন এবং প্রকৃত ইসলামকে অনুসরণ করতেন।
ফ্রান্সের তিন নম্বর চ্যানেলে এক সাক্ষাতকারে ট্রাক হামলায় নিহত মুসলমানের এক মেয়ে বলেন: এই জঘন্য হামলাকারীরা কখনোই মুসলমান হতে পারে না; কারণ এই হামলায় যে প্রথম নিহত হয়েছে, তিনি মুসলমান ছিলেন।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, সম্প্রতি সন্ত্রাসী হামলা অমুসলিমদের থেকে মুসলমানেরা অধিক নিহত হচ্ছে। আমেরিকার সন্ত্রাসী বিরোধী সংগঠনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত পাঁচ বছরে নিহতদের মধ্যে ৮২ থেকে ৯৭ শতাংশ মুসলমান।