জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যদেশ ও জার্মানিকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই পরমাণু সমঝোতা সই করে ইরান। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি এ সমঝোতা বাস্তবায়ন শুরু হয়। সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের ওপর আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে আরোপিত পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হবে। বিনিময়ে নিজের পরমাণু কর্মসূচিতে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আরোপ করবে তেহরান।
সমঝোতা অনুযায়ী ইরান নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেও মার্কিন নেতৃত্বাধীন ছয় জাতিগোষ্ঠী কার্যত এখনো তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আজ এ সম্পর্কে বলেন, পরমাণু সমঝোতা আরেকবার প্রমাণ করলো, মার্কিনীদের সঙ্গে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই। তারা তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে না এবং বিশ্বাস ভঙ্গ করতে ওস্তাদ।
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, দেশের উন্নতি নির্ভর করে অভ্যন্তরীণ সম্পদ ও সম্ভাবনার বিকাশের ওপর। যেসব শত্রু দেশ ইরানের উন্নতির সামনে পদে পদে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে চায় তাদের ওপর মোটেই নির্ভর করা যায় না।
সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বর্তমানে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক সংকটগুলো নিয়েও তেহরানের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়। কিন্তু পরমাণু সমঝোতা প্রমাণ করেছে, আমেরিকার সঙ্গে আবার আলোচনায় বসা হবে বিষপানের সমতুল্য।#