দ্বিতীয় পর্যায়ে বেহদাদ সালিমি আবারো ২৪৫ কেজি ভার উত্তোলন করেন। এসময় তিনি বিচারকদের কাছ থেকে তিনটি সাদা বাতির সংকেত পাওয়া সত্ত্বেও তার ফলাফল গ্রহণ করেনি জুরি কমিটি।
পরপর দুইবার ফল বাতিল হওয়ায় হতাশাগ্রস্ত বেহদাদ সালিমি তৃতীয়বার এসে ভার উত্তোলন করতে ব্যর্থ হন।
এই ইভেন্টে স্ন্যাচ এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে মোট ৪৭৩ কেজি ওজন তুলে সোনা জিতেছেন জর্জিয়ার ভারোত্তলক লাশা তালাখাদজে। রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পেয়েছে যথাক্রমে আর্মেনিয়ার গোর মিনাসিয়ান ও জর্জিয়ার ইরাখলি তুরমানিদজে।
ইরান তিনটি সোনা জিতুক তারা তা চায়নি: সালিমি
ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হারানোর পর দুইবারের বিশ্বসেরা ভারোত্তলক বেহদাদ সেলিমি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, বিচারকরা চায়নি, ইরান তিনটি স্বর্ণ জিতুক। যদিও আমি পরিপূর্ণ প্রস্তুত ছিলাম।
সালিমি বলেন, সবাই দেখেছে, তারা আমার সঙ্গে কী আচরণ করেছে।
তিনি বলেন: 'তারা খুব সহজেই আমার অধিকার হরণ করেছে। ফেডারেশনের সভাপতিও আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। তারপরও তারা আমার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদকে মূল্যায়ন করেনি। প্রকৃতপক্ষে তারা চায়নি, আমি স্বর্ণ জিতে আনি।'
সালিমি আরো বলেন, যে ওজন আমাকে দেয়া হয়েছিল, তাতোলা আমার জন্য খুবই সহজ ছিল।
এর আগে শুক্রবার পুরুষদের ৮৫ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ বিভাগে ১৭৯ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ২১৭ কেজি (মোট ৩৯৬ কেজি) ওজন তুলে ইরানকে প্রথম স্বর্ণ পদক এনে দেন ভারোত্তলক কিয়ানুশ রোস্তামি।
এর একদিন পর শনিবার ইরানি ভারোত্তলক সোহরাব মোরাদি ৯৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ বিভাগে ১৮২ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ২২১ কেজি (মোট ৪০৩ কেজি ) উঠিয়ে স্বর্ণ পদক লাভ করেন।#