তিনি বলেন: ইসলাম ধর্মের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং বিশ্বে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়াতে করতে এ সকল গ্রুপের জন্ম দেয়া হয়েছে।
এর্দোগান বলেছেন: কোনভাবেই দায়েশকে ইসলামের প্রতিনিধি বলা যায় না। সন্ত্রাসবাদকে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে যত চেষ্টাই করা হোক না কেন তা ইসলামভীতির প্রসার ব্যতীত আর কিছুই নয়।
দয়েশসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী গ্রুপের প্রতি এর্দোগানের সহযোগিতা ও সমর্থনের বিষয়টি কারো অজানা নয়। এতদসত্ত্বেও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আনকারা’র সাথে দায়েশের সকর প্রকার সম্পর্ককে প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন: আমরা কখনই এ ধরনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠিকে সমর্থন করতে পারি না। যারা তুরস্কের বিরুদ্ধে এমন ধরনের দাবী করে তারা মূলতঃ দায়েশকে সহযোগিতা করছে।
এর্দোগান এমন দাবী করলেও, প্রথম থেকেই দায়েশকে সহযোগিতার বিষয়ে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সিরিয়ায় যুদ্ধরত সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের যোগান দানের অভিযোগে অভিযুক্ত তুরস্ক। পাশাপাশি বিদেশী জঙ্গিরা তুরস্ক সীমান্ত ব্যবহার করে অবাধে সিরিয়া বা ইরাকে প্রবেশ করে দায়েশে যোগদান করে থাকে।
এছাড়া, দায়েশের আহত জঙ্গিদের তুরস্কের হাসপাতালে ভর্তি এবং তাদের চিকিৎসা সেবা দানের বিষয়টিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বহুবার।
অপরদিকে, দায়েশ কর্তৃক দখল করে নেয়া ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা থেকে উত্তোলিত তেলের মূল ক্রেতা হচ্ছে তুরস্ক।#3523822