IQNA

সর্বোচ্চ নেতা;

মসজিদ ইসলামী সংস্কৃতি ও সামাজিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু

17:26 - August 21, 2016
সংবাদ: 2601429
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও ইসলামী বিপ্লবের মহামান্য রাহবার হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী সেদেশের বিভিন্ন মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিবগণের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মসজিদ ইসলামী সংস্কৃতি ও সামাজিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু।

বলদর্পী শক্তিগুলো সেক্যুলার ইসলামের বিরোধিতা করে না: সর্বোচ্চ নেতা
বার্তা সংস্থা ইকনা: বিশ্ব মসজিদ দিবসউপলক্ষে আজ রবিবার সকালে তেহরানের আলেম ও মসজিদের পেশ ইমামদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে ইসলামী বিপ্লবের মহামান্য রাহবার হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী বলেন: ইসলামে মসজিদের গুরুত্ব অপরিসীম।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরো বলেছেন, ইসলামের অতীত ইতিহাসে মসজিদ ছিল পরামর্শ, পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার এবং আর্থ-সামাজিক ও সামরিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার কেন্দ্র। তিনি বলেন, ইসলামের অতীত ইতিহাসে মসজিদের বিরাট ভূমিকা ছিল। এটি কেবল সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি আর্থ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও এর কর্মকাণ্ড বিস্তৃতি লাভ করেছে। মসজিদ জনগণের ইবাদত বন্দেগির পাশাপাশি এটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক পরামর্শ ও সহযোগিতারও কেন্দ্র।

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বলদর্পী শক্তিগুলো শক্তিশালী ইসলামর বিরোধিতা করে কারণ এমন ইসলামের ভিত্তি সমাজ ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার গভীরে রয়েছে যা জাতিকে উন্নতির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়।

আন্তর্জাতিক মসজিদ দিবস সম্পর্কে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসির উচিত ২১ আগস্টকে আন্তর্জাতিক মসজিদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা যাতে পবিত্র আল-আকসা মসজিদে ১৯৬৯ সালে ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগুন লাগানোর দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়।

৪৭ বছর আগে এই দিনে অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা অবৈধ এক ইহুদি বসতি স্থাপনকারী আল-আকসা মসজিদে আগুন দেয়। এ কাজে তাকে সহায়তা করেছিল ইহুদিবাদী ইসরাইলের কর্মকর্তারা ও সামরিক বাহিনী। এ ঘটনায় আল-আকসা মসজিদের দক্ষিণ-পূর্বের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা সাইয়েদ আলী খামেনেয়ী মসজিদকে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের সূতিকাগার হিসেবেও অভিহিত করেন।

বিশ্ব মসজিদ দিবস' উপলক্ষে উক্ত বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতার বক্তৃতা দেওয়ার পূর্বে ইরানের মসজিদ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন হাজি আলী আকবারী বলেন: মানুষের অন্তর্দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি এবং সমাজ গঠনে যুবকদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হচ্ছে মসজিদ।

এছাড়াও হাজি আলী আকবারী বলেন: ইরানের ৯৭ শতাংশ শহীদ সব সময় মসজিদে যাতায়াত করতেন এবং এই পবিত্র স্থান থেকে তাদের আত্মিক শক্তি অর্জন করেছেন। বর্তমানে মসজিদের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হচ্ছে, 'দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ', 'সংস্কৃতি গঠন', 'পেশ ইমামকে সহযোগিতা করা', 'সাধারণ ফ্রন্ট ও ঐক্য গঠন', 'শিক্ষিত ও উদ্যমী যুবকদের সমাজ সেবা কাজে ন্যস্ত করা', 'ঐক্যের মাধ্যমে মসজিদ পরিচালনা করা'

iqna



captcha